বিশ্ববাজারে দিন দিন বাড়ছে বাংলাদেশি ওষুধের চাহিদা। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৭০ দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ।
সম্প্রতি প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবির) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। রপ্তানি হয়েছে ছয় কোটি ৯২ লাখ ডলার। এ সময় রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাত কোটি ৯২ লাখ ডলার।
এতে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ৩ শতাংশের কম অর্জিত হয়েছে। আর ২০১২-১৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল পাঁচ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। এসব ওষুধ যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং আফ্রিকার দেশগুলোয়।
বড় বাজারগুলোতে এখনো রপ্তানি সন্তোষজনক না হলেও ক্রমান্বয়ে তা বাড়ছে। তবে ধারাবাহিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। উদ্যোক্তারা মনে করেন, এই হারে রপ্তানি বাড়লে এবং অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত হলে আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় হবে প্রায় ৩০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশের ওষুধশিল্প ইতিমধ্যে বিশ্ববাজারের আস্থা অর্জন করেছে। স্থানীয় কম্পানিগুলোও নিজস্ব ব্র্যান্ডকে আন্তর্জাতিক বাজারে আস্থায় আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ জন্য সময়ের প্রয়োজন। কারণ যেসব দেশে ওষুধ রপ্তানি করা হয়, সেসব দেশের জন্য সমমানের ওষুধ তৈরি করেই বাংলাদেশকে রপ্তানি করতে হয়। আর এ জন্য বাংলাদেশকে ওষুধ এবং কারখানা মান সনদ নিতে হয় সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে। এ জন্য বেশ কয়েক বছর সময় লাগে। এর পরও ওষুধ কম্পানিগুলো বর্তমানে প্রায় ৯৭ শতাংশ ওষুধের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করছে।
সম্প্রতি তাইওয়ান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএফডিএ) থেকে গুড ম্যানুফেকচারিং প্র্যাকটিসেস সার্টিফিকেট পেয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। ফলে ওই দেশে কম্পানিটি ওষুধ রপ্তানি করার সুযোগ পাবে।
ওষুধ রপ্তানিতে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান হলো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, ইনসেপ্টা ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যাল, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল, এরিস্টো ফার্মা, এসিআই, একমি এবং ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল।
সূত্র: কালের কণ্ঠ