দেশে গত ছয় মাসে ১০৮ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গড়ে প্রতি মাসে ১৮ জন এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের এক ষান্মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অধিকার।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ছয় মাসে দেশে ক্রসফায়ারে ৬৬ জন নিহত হয়েছে। র্যাব-বিজিবি’র হাতে দুইজন ও কোষ্টগার্ডেও হাতে নিহত হয়েছে তিনজন। নির্যাতনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৫ জনকে।
প্রতিবেদনে হেফাজতে নির্যাতন ও অমানবিক এবং মর্যাদাহানিকর আচরণ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গুম করার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে গত ছয় মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৩২ জন নিহতের কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ছয় মাসে জেল হেফাজতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ছয় মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৩২জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে জনুয়ারিতে নিহত হয়েছে ৫৩জন, ফেব্রুয়ারিতে ১০জন, মার্চে ২২জন, এপ্রিলে ১৭ জন, মে মাসে ১৭জন, জুনে ১৩জন।
যৌতুক সহিংসতার ব্যপারে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ছয় মাসে যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছে ১১১ জন। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৮৯জন। যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছে ১১৪জন। এছাড়া গত ছয় মাসে গণপিটুনীতে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিএসএফ কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্খনের ব্যপারে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ছয় মাসে বিএসএফের হাতে ১৪ বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২৩ জন এবং অপহৃত হয়েছে ৫৯ জন।
এসব ঘটনায় অধিকারের সুপারিশে বলা হয়েছে, সরকারকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। আইন শৃংখলা রাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে আটক এবং নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে হবে এবং এই ব্যাপারে সরকারকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।