সরকার ঘোষিত মাংশ আইন অমান্য করে শ্রীপুরে যত্র-তত্র জবাই করছে রুগাক্রান্ত ও গর্ভবর্তী পশু। শ্রীপুর পৌরসভার প্রধান বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ও বাজার সংলগ্ন এলাকায় অবাধে জবাই করা হচ্ছে এ সব রুগাক্রান্ত পশু। এ সব পশু জবাইয়ে ডাক্তারী পরিক্ষা ও মাংশ নিয়ন্ত্রন আইন মানা হচ্ছেনা।
জানা যায়, শ্রীপুর পৌরশহর, মাওনা চৌরাস্তা, মাওনা বাজার জৈনাবাজার, কাওরাইদ, বরমী, রাজেন্দ্রপুর, রাজাবাড়ী, মাস্টার বাড়ীসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রায় অর্ধশতাধীক মাংশের দোকান ও শতাধিক মুরগীর দোকান আছে। ব্যাবসায়ী কারনে তাদের লাইসেন্স থাকার বিধান থাকলেও শ্রীপুরে তিনটি, বরমীতে তিনটি, রাজেন্দ্রপুরে দু’টি, কাওরাইদে তিনটি এবং রাজাবাড়ীতে দু’টি দোকানের লাইসেন্স আছে।
মাংশ নিয়ন্ত্রন আইনে শ্লটার হাউজ বা কসাইখানায় পশু জবাইয়ের বিধান থাকলেও এ সব ব্যবসায়ীরা পশু জবাই করেন তাদের পছন্দের সুবিধামত স্থানে। দুরবর্তী, গর্ভবর্তী, উৎপাদনশীল ও প্রজননে সক্ষম পশু এবং ১ বছরের নিচে পুরুষ ছাগল,৭ বছরের নিচে পুরুষ গরু জবাই, সপ্তাহে একদিন পশু জবাই নিষেধ থাকলেও শ্রীপুরের মাংশ ব্যবসায়ীরা তা মানছেননা। এ সব বিষয় নিয়মিত পরিদর্শনের বিধান থাকলেও উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগ তা করছেন না।
পশু জবাইয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রত্যায়ন পত্র কেবল পশু সম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারী সার্জনেরই রয়েছে। হাটবাজার গুলোতে শ্লটার হাউজ বা কশাইখানা না থাকায় ব্যবসায়ীরা বন জঙ্গলে অস্বাস্থ্যকর নোংড়া পরিবেশে পশু জবাই করছে। জনৈক মাংশ ব্যবসায়ীরা জানায়,প্রানী সম্পদ অফিস পরের দিন সকালে যে পশুটি জবাই হবে তাকে না দেখেই অগেরদিন বিকেলে মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে পশু জবাইয়ের ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়ে বাসায় চলে যান।
অগ্রীম স্বাক্ষর করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধূ মাংশ ব্যবসায়ীরা রোগাক্রান্ত, গর্ভবর্তীসহ আনফিট পশু অবাধে জবাই করছে। স্ত্রী ছাগল জবাই করে খাশির মাংশ ও মহিষ জবাই করে গরুর মাংশ বলে চড়াদামে বিক্রি করছে। মুরগীর দোকান গুলোতে রোগাক্রান্ত মুরগী হর হামেশা বিক্রি হচ্ছে। অতীতে কয়েক বার। শ্রীপুর বাজারে পুনরায় গর্ভবর্তী গরু জবাইয়ের ঘটনা ঘটছে ৬ জুন।
সুরুজ মিয়া নামে শ্রীপুর বাজারের মাংস বিক্রেতা একটি গর্ভবর্তী গাভী জবাই করে বিষয়টি প্রকাশ পেলে ক্রেতারা মাংশ সহ তাকে বাজার থেকে বের করে দেয়। পৌর শহরে মাংশ বিক্রির নির্ধারিত সেড থাকা সত্বেও শ্রীপুর রেলগেইটে প্রতিনিয়ত মাচায় বসে মাংশ বিক্রি করছে। এরা অনেকে বাড়ীতে রুগাক্রান্ত পশু জবাই করেন বাজারে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ আছে।
ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ অসাধু মাংশ ব্যবসায়ীদের সাথে প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ও সেনেটারী ইন্সপ্টেরের যোগ সাজস রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলার প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা আঃ জলিল জানান, দু’জন ভেটেরিনারী সার্জন ও মাঠকর্মী নিয়ে পুরো উপজেলায় মাংশ আইন মানা ও ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রন করা মোটেও সম্ভব নয়। সেনেটারী ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম জানান, পশু জবাইয়ের পর মাংশে অনিয়ম অস্বাস্থ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
COMMENTS