জাতীয় নেতা, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদের ৯০তম জন্মদিন আজ। ১৯২৫ সালের এই দিনে তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে জন্ম নেন।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে সব ধরনের প্রগতিশীল আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের। তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্যোক্তাদের একজন। ১৯৬৬ সালে তিনি দলটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত ছয় দফা প্রণয়নে ও তা জনপ্রিয় করার পেছনে তাজউদ্দীনের ছিল অসামান্য অবদান। ১৯৬৯ সালের নির্বাচন, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনেও তার অপরিসীম ভূমিকা অনস্বীকার্য। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পর মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশ ও জাতির এক সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকার মূলত তার নেতৃত্বেই গঠিত হয়। দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু ফেরার পর জাতীয় এ নেতা অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি নেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতক চক্র তাকে প্রথমে গৃহবন্দি ও পরে জেলখানায় বন্দি করে। জেলে অন্তরীণ অবস্থায় একই বছরের তিন নভেম্বর তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে ঘাতকরা।
মহান এ জননেতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ দুপুর ১২টায় রাজধানীর ৭৫১ সাত মসজিদ রোডে একটি বই বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করা হবে। এছাড়াও পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হবে তার জন্মদিন।