টঙ্গী প্রতিনিধিঃ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশন টঙ্গী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিনকে লাঞ্ছিত করেছেন স্থানীয় ৪৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হেলাল উদ্দিন। এ ঘটনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন টঙ্গী অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিদিনের ন্যায় তার অফিসকক্ষে বসে অফিসের কাজকর্ম করছিলেন। অফিস কক্ষে বসাকে কেন্দ্র করে ৪৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হেলাল উদ্দিন প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিনের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ শুরু করে এবং তাকে রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলে। একপর্যায়ে তাকে চড়থাপ্পড় মারার জন্য এগিয়ে যায় এবং তার ওপর চেয়ার নিক্ষেপ করার চেষ্টা করে। এ সময় তার চেঁচামেচির শব্দ শুনে যুবলীগ নেতা এগিয়ে এসে কাউন্সিলরকে শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে অল্পের জন্য চেয়ার নিক্ষেপের আঘাত থেকে রক্ষা পান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিন। সিটি করপোরেশন টঙ্গী অঞ্চলের অপর নির্বাহী প্রকৌশলী এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এ সংক্রান্ত পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য উপস্থিত সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান।
টঙ্গী অঞ্চলের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কবির আল আসাদ ও ৫৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলেক, যুবলীগ নেতা ছাত্তার মোল্যাএ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হেলাল উদ্দিনের এক ঘনিষ্ঠ ও বিশিষ্ট ঠিকাদার বলেন, সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকায় রামরাজত্ব কায়েম করছেন মো. হেলাল উদ্দিন। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আব্দুল মতিন একজন বেয়াদব, তাকে শায়েস্তা করতে চাইছিলাম। এলাকায় পানি, বিদ্যুৎ, ড্রেনেজ সংক্রান্ত কাজ না করে যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। তাই আমি বলেছি সিটি করপোরেশনে চাকরি করবেন, আর কাজ করবেন না, এটা হবে না। বসে বসে বেতন নেয়া বাদ দিয়ে চাকরি ছেড়ে চলে যান।
বিষয়টি জানতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুলতান উদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।