মেয়ের পড়া নিয়ে কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন তার মা। রাতে তিন বছরের শিশুকন্যাকে পড়ার জন্য চাপাচাপি করছিলেন মা। এতে আপত্তি জানায় বাবা।
সে ছোট মানুষ, এখন ঘুমের সময়। এ নিয়ে ঝগড়া হয় স্বামী-স্ত্রীর। পরে অভিমানে আত্মহত্যা করেন তার স্ত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার টঙ্গীর আরিচপুর এলাকায়।
টঙ্গী থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রোকসানা আক্তার (২৫) তার তিন বছরের শিশু কন্যাকে ঘুম না পাড়িয়ে পড়াশোনার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এসময় মেয়েকে পড়ার জন্য চাপ দিতে বারণ করেন স্বামী লিটন মিয়া।
পুলিশ জানায়, এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লিটন মিয়া মেয়েকে কোলে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে চায়ের দোকানে চলে যান। আধঘণ্টা পর বাসায় ফিরে ঘরে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
পরে খবর পেয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ তার মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে রোকসানার লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানায় থানা পুলিশ।
কুষ্টিয়ার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকায় লিটন মিয়ার গ্রামের বাড়ি। টঙ্গীতে একটি পোশাক করাখানায় চাকরি করতেন তিনি। রোকসানার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলফাডাঙ্গায়।