পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ অন্ত্রধারী সন্ত্রাসী ইমরান গ্রুপের দুই সহযোগী জুয়েল রানা ওরফে বাঘা (৩০) ও মো: সাদ্দাম হোসেন ওরফে সাদ্দাম (২৯)কে পুলিশ গোপনে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা সেবনের সময় গ্রেফতার করেছে। এদের কাছ থেকে পুলিশ একটি অত্যাধুনিক স্ল্যুইচ গিয়ার উদ্বার করেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টঙ্গীর দত্তপাড়া জহির মার্কেট সামাদ হাজীর বাড়ি থেকে এদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে ধৃত দুই সন্ত্রাসী জুয়েল ও সাদ্দামকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। টঙ্গী থানার এএসআই মিজানুর রহমান এই ঝটিকা অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসিরা জানান, টঙ্গী দত্তপাড়া,আউচপাড়া ও চেরাগআলী এলাকার ত্রাস ও সন্ত্রাসী ইমরান গ্র“পের সহযোগী জুয়েল রানা ওরফে বাঘা ও মো: সাদ্দাম হোসেন ওরফে সাদ্দাম দীর্ঘ দিন টঙ্গীতে খুন, ছিনতাই,ডাকাতি, রাহাজানি,চাঁদাবাজী সহ নানাবিধ অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড অবাধে চালিয়ে আসছিল। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসী জুয়েল ও সাদ্দাম টঙ্গীর দত্তপাড়া জহির মার্কেট সামাদ হাজীর বাড়িতে বসে একটি কক্ষে ইয়াবা সেবন করছিল।
গোপনে খবর পেয়ে টঙ্গী থানার এএসআই মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেফতার করে ।
টঙ্গী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসী জুয়েল রানা ওরফে বাঘার পিতার নাম সেন্ট মিয়া ও সাদ্দামের পিতার নাম শাহআলম। টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় তারা ভাড়া থাকে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্বে থানায় একাধিক মামলা আছে। শীর্ষ অন্ত্রধারী সন্ত্রাসী ইমরান গ্র“পের সহযোগী এরা।
আজ বৃহস্পতিবার টঙ্গীর জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় ধৃত দুই সন্ত্রাসী জুয়েল ও সাদ্দামকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে গাজীপুর আদালতে পাঠাতে পাঠায় পুলিশ।
উল্লেখ্য,গত ১জুন রাতে টঙ্গীর বিসিক মোড় পানির ট্যাংকের সামনে সন্ত্রাসীরা জাহাঙ্গীরকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় টঙ্গী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর-৩।