বসবাসের জন্য সবচেয়ে অনুপোযোগী দ্বিতীয় শহর হিসেবে সিরিয়ার দামেস্কের পর অবস্থান নিয়েছে রাজধানী ঢাকা। বিশ্বের ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার স্থান ১৩৯।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট গ্রুপের সংগঠন দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেঙের উদ্ধৃতি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার দ্য ডেইলি এইজ এ তথ্য জানিয়েছে। গত বছরও এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৯তম।
এ দিকে, টানা চতুর্থবারের মতো বসবাসের সবচেয়ে উপযোগী শহর হিসেবে স্থান অটুট রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। এর পরেই রয়েছে, ভ্যাঙ্কুভার (কানাডা), টরন্টো (কানাডা), অ্যাডিলেড (অস্ট্রেলিয়া), ক্যালগ্যারি (কানাডা), সিডনি (অস্ট্রেলিয়া), হেলসিঙ্কি (ফিনল্যান্ড), পার্থ (অস্ট্রেলিয়া), অকল্যান্ড (নিউজিল্যান্ড)।
গত ছয় মাস ধরে ১৪০টি নগরীর ওপর পরিচালিত জরিপে স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যপরিচর্যা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামোর মতো বিষয় বিবেচনা করে তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি শহরের অবস্থান গত সূচকের থেকে পরিবর্তিত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, লন্ডন ও নিউ ইয়র্কের মতো শহরগুলো অনেক দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে তারা পিছিয়ে পড়েছে।
অন্য দিকে, ঢাকার চেয়ে খারাপ কেবল যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরীয় রাজধানী দামেস্কস। এর বাইরে শেষের দশে থাকা শহরগুলো হলো-পাপুয়া নিউগিনির শহর পোর্ট মোরেসবাই (১৩৮), নাইজেরিয়ার লাগোস (১৩৭), পাকিস্তানের করাচি (১৩৬), আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স (১৩৫), জিম্বাবুয়ের হারারে (১৩৪), ক্যামেরুনের দাউয়ালা (১৩৩), লিবিয়ার ত্রিপোলি (১৩২) ও আইভরিকোস্টের আবিদজান (১৩১)।