রাজীব সরকারঃ গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীর আমবাগ ও বাঘিয়া এলাকায় ভেজাল সার ও কীটনাশক ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার বিকেলে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবদুল ছালামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এসময় মাসকো এগ্রো ক্যামিকেল থেকে ৩০ কেজি বোরাক, ৬০০ কেজি স্পেশাল বোরণ ও নাম বিহীন কারখানা থেকে রং ও মাটি দিয়ে তৈরী ২৩ বস্তা ভেজাল সার ধ্বংস করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী বাঘিয়া ও আমবাগ এলাকায় মাসকো এগ্রো ক্যামিকেল ও নাম বিহীন দুইটি কারখানায় ভেজাল সার ও কীটনাশক তৈরীর অপরাধে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী একটি কারখানাকে জরিমানা ও বাকি দুই কারখানা সিলগালা করা হয়। পরে ওই কারখানার গুলোর মালামাল পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য ঢাকা ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ওই সার ও কীটনাশকের ভেজাল পাওয়া যায়। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সার ও কীটনাশকে ২০% পাওয়ার থাকার কথা থালেও মাসকো এগ্রো ক্যামিকেলে স্পেশাল বোরণ ও বোরাক সারে ১৭% পাওয়া যায়। অপর কারখানায় মিশ্র সার তৈরীতে উইরিয়া, টিএসপি, এমওপি, সালফার ও পটাশ ব্যবহার না করে শুধু রং ও মাটি ব্যবহার করা হয়। যার ফলে ওই করখানা গুলোর মালামাল মাটিতে পুতে ধ্বংস করা হয়। ওই কারখানা গুলোতে পদ্মা অয়েল কোম্পনী লিমিটেডের ফুরাডান দানাদার কীটনাশক, মিশ্র সার ও মাসকো এগ্রো ক্যামিকেল ভেজাল সার তৈরী করা হতো।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আবদুল ছালাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মো. সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খ ম সফিউদ্দিন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মোতালেব, পুলিশ ও ওই কারখানার মালিক প্রতিনিধিরা।
গাজীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মো. সাইদুর রহমান জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারীতে পত্রিকায় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর আমরা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই কারখানা গুলো সিলগালা ও একটি কারখানাকে ২০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়। বাকি দুই কারখানার মালামালে ভেজাল পাওয়া যাওয়ার বুধবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই সব মালামাল ধ্বংস করা হয়।
এব্যাপারে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবদুল ছালাম জানান, গত ৬ মাস আগে ওই কারখানা গুলোকে সিলগালা করা হয়। ওই কারখানা গুলো অবৈধভাবে সার ও কীটনাশক তৈরী করার প্রমাণ পাওয়ার সমস্থ মালামাল মাটিতে পুতে ধ্বংস করা হয়। ওই সার ও কীটনাশক পরীক্ষা করে মাটি ও রং পাওয়া যায়। কারখানার মালিক প্রতিনিধিরা ষ্ট্যাম্পে লিখিত দিয়েছে তারা অুমতি ছাড়া সার ও কীটনাশক তৈরী করতে পারবে না। কারখানা গুলোর সিলগালা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা কৃষি কর্মকর্তার অনুমতি ও কাগজপত্র ছাড়া সার ও কীটনাশক তৈরী করতে পারবে না।