ফুটবল নিয়ে নানা কসরত দেখাতে পটু গাজীপুরের মফিজুল হক। মাথায় বল নিয়ে সাঁতার কাটা, জামা কাপড় পড়া ও হাতে বল রেখে একটানা হাঁটাসহ দৈনন্দিন কাজ করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষকে। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে প্রতিভার স্বীকৃতি চান মফিজুল।
পড়ালেখায় মন বসেনি, তাইতো এসএসসিতে থেমে যান গাজীপুরের মফিজুল হক। তবে পাঠ্যবইরের বাইরে অন্য একটা জগত গড়ে তোলেন তিনি। ফুটবল নিয়ে নানা কসরতে মেতে উঠেন মফিজুল।
ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলের ফুটবল প্রতিভায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দশ বছর বয়স থেকে ফুটবল ঘিরেই রচিত হয় মফিজুলের ধ্যানজ্ঞান। দীর্ঘ অনুশীলনে পঞ্চাশটিরও বেশি চোখ ধাঁধানো খেলা দেখাতে পারেন তিনি। যার মধ্যে মাথায় বল নিয়ে একটানা ১০ কিলোমিটার হাঁটা কিংবা একনাগাড়ে পাঁচশ বার হেড করতে পারেন মফিজুল।
ফুটবল নিয়ে মফিজ যে সাধনা করছেন তা দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের । এজন্য জাতীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতাসহ তার মেধার স্বীকৃতির দাবি করেছেন তারা।
স্থানীয়দের প্রত্যাশা আর নিজের অধ্যবসায়কে সাথে নিয়ে মফিজ এগিয়ে যেতে চান বিশ্ব জয়ের রেকর্ড গড়তে। এজন্য তিনি চান জীবনের শেষ প্রান্তে এসে জাতীয় স্বীকৃতি।
এর আগে বাংলাদেশের মাগুড়ার আব্দুল হালিম মাথায় বল নিয়ে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রমের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন। ২০০৯ সালে এই রেকর্ড গড়েছিলেন মালয়েশিয়ার ই মিং লো। তাদের মতো মফিজও একদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন এমন প্রত্যাশা সবার।