ডেস্ক : বাংলাদেশে তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ত জায়েমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এ সফরে তিনি বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
বৈঠকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিক পাঠানোর বিষয়টিই আলোচনার মূল বিষয় বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে পাঁচ লাখেরও বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক রয়েছেন মালয়েশিয়াতে।
বাংলাদেশের অন্যতম এই শ্রমবাজারে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ হয়ে যায়।
চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০১২ সালে দুই দেশের সরকার একটি সমঝোতায় আসে শুধুমাত্র সরকারিভাবে মালয়েশিয়াতে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে।
সেসময় মাত্র ৩৩ হাজার টাকা খরচে মালয়েশিয়ার যাওয়ার এ সুযোগ রীতিমত সাড়া ফেলে দেয়।
নিবন্ধন করেন প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ মানুষ। আর দুইবার লটারির মাধ্যমে ২৩ হাজার কর্মী নির্বাচন করা হয় মালয়েশিয়ার যাওয়ার জন্য।
তবে এ পর্যন্ত মালয়েশিয়াতে যেতে পেরেছেন মাত্র সাড়ে চার হাজার কর্মী।
এক অর্থে মালয়েশিয়াতে শ্রমিক পাঠানোর যে প্রক্রিয়া কথা যতোটা জোরেশোরে শোনা গিয়েছিল এখন সেখানে ততোটাই ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র থেকে বলা হচ্ছে, মালয়েশিয়ার সরকার শ্রমিক নিতে চেয়েছিল তাদের বনায়ন খাতের একটি প্রকল্পে। সেখানে চাহিদা মাফিক শ্রমিক নিয়েছে।
এখন খবর পাওয়া যাচ্ছে দেশটির কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ ও বিভিন্ন সেবা খাতে লোক নেবে। তবে তার জন্য মালয়েশিয়ার সরকারের কাছ থেকে চাহিদা পত্র আসতে হবে।
সেই খাতগুলো থেকে এখনও কোনো চাহিদাপত্র আসেনি।ফলে বাংলাদেশ শ্রমিক পাঠাতে পারছে না।
সূত্র: বিবিসি