গাজীপুর অনলাইনঃ টঙ্গীর জিসিসি মহিলা কাউন্সিল সাহেরা আক্তার মৌসুমির বিরুদ্ধে এবার টঙ্গী মডেল থানায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাধারণ ডায়েরী ( জিডি) করেছেন গনেশ সরকার ওরফে বাবু স্যার নামে এক শিক্ষক। যার জিডি নম্বর হল ৬২৯।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন ( জিসিসি-৪৩.৪৪ ও ৪৫) নম্বর সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর হল সাহেরা আক্তার মৌসুমি। টঙ্গী পুর্ব আরিচপুর হাজী পাড়া হলি মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক গনেশ সরকারকে প্রাণ নাশের হুমকী, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হওয়ায় কাউন্সিল সাহেরা আক্তার মৌসুমির বিরুদ্বে থানায় জিডি করা হয়।
থানায় দায়েরকৃত জিডিতে উল্লেখ করা হয়, মহিলা কাউন্সিলর সাহেরা আক্তার মৌসুমি ২০১২ সালের ১ জুন ১ লাখ টাকার বিনিময়ে হলি মডেল স্কুলের পার্টনার হন। এরপর ২০১৪ সালের ৮ মে স্বেচ্ছায় মৌসুমি অংশীদার দলিল নামায় স্বাক্ষর করে চুক্তি বাতিল করে ১ লাখ টাকা বুঝিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মহিলা কাউন্সিলর মৌসুমি ২০১৪ সালে ৭ জুন শিক্ষক গনেশ সরকার এর কাছে পুনরায় ৬০ হাজার টাকা দাবী করেন। পাওনা টাকা নিয়ে হলি মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক গনেশ সরকারকে জুতা পেটা ও চেয়ার দিয়ে মারধর করে মহিলা কাউন্সিলর মৌসুমি।
গত ৫ আগস্ট জিসিসি মহিলা কাউন্সিল সাহেরা আক্তার মৌসুমি হলি মডেল স্কুলের পাশে তার শ্বশুড়ের নামে আব্দুল লতিফ খান নামে একটি নতুন স্কুল দিয়ে হলি মডেল স্কুলের ৭জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে স্কুল চালু করে। এই নিয়ে হলি মডেল স্কুলের প্রতিষ্টাতা প্রধান শিক্ষক গনেশ সরকার ঘটনার প্রতিবাদ জানালে তাকে প্রাণ নাশের হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মহিলা কাউন্সিলর মৌসুমি।
এ ব্যাপারে জানতে মহিলা কাউন্সিলর সাহেরা আক্তার মৌসুমি সাথে যোগাযোগ করা হলে তার স্বামী বাবুল মিয়া জানান, শুনেছি আমার স্ত্রীর বিরুদ্বে থানায় আজ বৃহস্পতিবার জিডি হয়েছে। থানা থেকে পুলিশ ফোন করে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, জিসিসি-(৪৩.৪৪ ও ৪৫) নম্বর সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর সাহেরা আক্তার মৌসুমি দেবর হল তুহিন। তুহিন টঙ্গীর শীর্ষ ইয়াবা ডিলার। বর্তমানে তুহিন গাজীপুর জেল খানায় আছে। মৌসুমির স্বামী বাবুল মিয়া টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হলি ডে ইন নামে একটি আবাসিক হোটেলের মালিক। ইতি পুর্বে মহিলা কাউন্সিল সাহেরা আক্তার মৌসুমি বিরুদ্বে একাধিক সংবাদ আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।