গাজীপুর অনলাইনঃ বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টায় প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শোক দিবস যথাযথভাবে পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ সূরা পাঠ ও দোয়া-মোনাজাত করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। পরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। বাদ জুমা দেশের সব মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সুবিধামতো সময়ে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা।
রাজধানীসহ সারা দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতারে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করেছে এবং পত্রিকাগুলো ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
১৯৭৫ সালের এদিনে কয়েকজন বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন শেখ মুজিবুর রহমান। ঘাতকের বুলেটে নিহত হন তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মনি, তার স্ত্রী আরজু মণি এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিল। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান শেখ মুজিবের দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দিনে বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছিল।