কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মাঠে দেয়া বক্তব্য সেইসব দিনের স্মৃতিচারণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আমার জন্মভূমি মিঠামইন উপজেলায় ৪ বার এসেছি। কিন্তু হাওরে বর্ষাকাল আমার কাছে খুব প্রিয়। শৈশব-কৈশোরে মিঠামইন বাজার থেকে সাঁতার কেটে নিজ গ্রাম কামালপুরে গিয়েছি। তাই বর্ষা আমাকে টানে।’
বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মাঠে দেয়া বক্তব্য সেইসব দিনের স্মৃতিচারণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
আব্দুল হামিদ বলেন, বঙ্গ ভবনে ঢোকার পর আমি ইচ্ছা করলেই আমার এলাকায় যখন খুশি তখন আসতে পারি না। ৫৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ৪৪ বছরই নির্বাচন করেছি। এমপি থেকে ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার, বর্তমানে আপনাদের দোয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি।
তিনি বলেন, আমি এ বছর হজ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি, এটা আপনাদের জানানো উচিত... আমার জন্য দোয়া করবেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মিঠামইন উপজেলার কমলপুর বাঁধের মেরামত কাজ পরিদর্শন করেন। ১৯৯৮ সালে ২ হাজার ৩৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এই বাঁধটি নির্মিত হয়েছিল। নদী ক্ষয়ের কারণে বাঁধের অনেক স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত দু’টি স্থানে মেরামতের কাজ চলছে। সফরকালে রাষ্ট্রপতি বাঁধের অন্যান্য স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের মেরামতের নির্দেশ দেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক সফরকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে আবদুল হামিদ অষ্টগ্রাম পৌঁছেন। সকালে তিনি জাহাজে চড়ে অষ্টগ্রাম থেকে মিঠামইন যান। এসময় নদীর দু’পাড়ের জনগণ রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতি হাত নেড়ে তাদের অভিবাদনের জবাব দেন।
নৌ- বাহিনীর সুসজ্জিত জাহাজ ‘এমভি ফ্লেমিংগো’ নিয়ে অষ্টগ্রাম থেকে মিঠামইন আসার পথে নিকলী ও বাজিতপুরে নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি। এছাড়া মিঠামইনে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ও নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক, সেনাপ্রধান মো. ইকবাল করিম ভূঁইয়া এবং অধ্যক্ষ আ. হক নুরুসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গত বুধবার পাঁচ দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ আসেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আগামী রবিবার বিকালে তার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়ার কথা রয়েছে।