প্রযুক্তি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। মোবাইল বার্তা লেনদেনের যুগে যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। কেমন হবে, যদি কোনো মানুষ তার মস্তিষ্কে থাকা তথ্য অন্য মানুষের সঙ্গে সরাসরি লেনদেন করতে পারে? অর্থাত্ একজনের মস্তিষ্ক থেকে তথ্য সরাসরি আরেকজনের মস্তিষ্কে পৌঁছে যাবে। এমনই এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। ফ্রান্স ও স্পেনের বেশ কয়েকজন গবেষকও হার্ভার্ডের গবেষকদের সহায়তা করেছেন। খবর ইয়াহু নিউজ।
সাম্প্রতিক সময়ে তথ্য লেনদেন মাধ্যমের চাহিদা বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক গুণ। ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারের মতো মেসেজিং অ্যাপগুলোও এ সেবা প্রদান করে আসছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি চাইলে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের অন্য কারো মস্তিষ্কে তথ্য প্রদান করতে পারবে।
২৮-৫০ বছর বয়সী চারজনের মধ্যে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়া ভারত থেকে ফ্রান্সে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কে তথ্য আদান করতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকরা। এ চারজন স্বেচ্ছাসেবকের একজন তথ্য প্রদান করেছেন আর অন্য তিনজন এ তথ্য গ্রহণ করেছেন।
এ বিশেষ পদ্ধতিটির নাম ইলেকট্রোএনসেফালগ্রি। এ পদ্ধতির মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে বের হওয়া তরঙ্গ ব্যবহার করে তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব। তথ্যগুলো আদান প্রদান করতে মাধ্যম হিসেবে প্রয়োজন হবে ইন্টারনেটের। তথ্য প্রদানকারী স্বেচ্ছাসেবক ভারতে বসে তথ্য প্রদান করেছেন। অন্য তিনজন ফ্রান্সে বসে এ তথ্য গ্রহণ করেছেন।
প্রযুক্তিটি আপাতত পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে। তবে অধিক গবেষণার মাধ্যমে প্রযুক্তিটি বাস্তবে শিগগিরই ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যম হিসেবে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে বেশকিছু সেবার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কে তথ্য লেনদেনের এ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ভাকে বিপ্লব সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ প্রযুক্তি তথ্য লেনদেনকে আরো সহজ করবে বলেও অভিমত তাদের।