স্টাফ রিপোর্টারঃ কতিপয় আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটরকে লুটপাটের সহায়তাকারী বিটিআরসির কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেছে বঞ্চিত টেলিযোগাযোগ ব্যবসায়ী সমিতি। এ খাতে লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ ফিরিয়ে দিতেও সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঞ্চিত টেলিযোগাযোগ ব্যবসায়ী সমিতির এক মানববন্ধন শেষে সমিতির নেতারা এসব দাবি জানান।
সমিতির সহ-সভাপতি সাইফ ইসলাম বলেন, বিটিআরসি নাটকীয়ভাবে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন কমিয়ে ৩ সেন্ট থেকে ১.৫ সেন্ট করেছে। এতে সরকার ২ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রা হারাবে।
প্রতিবেশি দেশগুলোতে তিনগুন কল টার্মিনেশন রেট দাবি করে ওই নেতা বলেন, শ্রীলংকায় ৯ সেন্ট, পাকিস্থানে ৮.৮ সেন্ট, নেপালে ৯.৫ সেন্ট এবং মালদ্বীপে ২৫ সেন্ট। দেশের স্বার্থে এ রেট কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত জানান তারা।
সমিতির প্রচার সম্পাদক মাসুম আহমেদ বলেন, বিটিসিএলের মতো সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠান এখন কিছু কর্মকর্তার কারণে ৫৪৬ কোটি লোকসান গুনছে। দেশে ২৯টি আইজিডব্লিউ থাকলেও বিটিআরসির কর্মকর্তারা মাত্র ৭ থেকে ৮টিকে সুবিধা দিচ্ছে বলেই বিটিসিএল পথে বসেছে।
ভিওআইপির জন্য লাইসেন্সগ্রহণকারী ভিএসপি অপারটেরদের এ সংগঠনটি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ঊধ্বর্তন এক কর্মকর্তার অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে সমিতির নেতারা বলেন, ওই কর্মকর্তা কমিশনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিলেন। তিনি আরও কিছু কর্মকর্তা মিলে হাতেগোনা কয়েকটি আইজিডব্লিউ কোম্পানিকে এক বছরে ৭০০ কোটি টাকা লুটপাটের সহায়তা করেন।
তাদের অভিযোগ, এ সব কোম্পানির বয়স মাত্র ১ থেকে দুই বছর কিন্তু শত শত কোটি টাকা তার বকেয়া ফেলে উধাও হয়ে গেছে। এতে করে এসব অর্থ সরকার আর কখনই ফেরত পাবে না।
বঞ্চিত টেলিযোগাযোগ ব্যবসায়ী সমিতি নেতারা জানান, ওই কর্মকর্তা আবার কমিশনে ফেরত এসেছেন। এ নিয়োগের বিরুদ্ধে ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে রুল ও স্থগিতাদেশ জারি করা হলেও তিনি বহাল রয়েছেন।
মানববন্ধন শেষে সমিতির একটি প্রতিনিধি দল টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন অনিয়ম ও সমস্যার সমাধানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে একটি স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে যান।