দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহামান চৌধুরী এবং বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোসসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগ এনে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১নং আমলী আদালতে বুধবার এ দুটি মামলা দায়ের করেন। দৈনিক ইত্তেফাক সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবী ও অভিযোগ সূত্রে ইত্তেফাক জানিয়েছে, কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট প্রি-পেইড মোবাইল সংযোগটি ক্রয় করে অদ্যাবধি ব্যবহার করে আসছেন। ২০০৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করে নিজ নামে মোবাইল ফোন সংযোগটি রেজিস্ট্রেশন করেন। পরবর্তীতে এ মোবাইল ফোনের সিমের ‘নিশ্চিন্ত’ নামের প্যাকেজটি তাঁর বিনা অনুমতিতে পরিবর্তন করে ‘বিজনেস সলিউশন প্যাকেজ-৩’-এ সক্রিয় করা হয়।
পত্রিকাটির তথ্যমতে, এ বিষয়ে তিনি একাধিকবার গ্রামীণফোনের কেন্দ্রীয় কাস্টমার সার্ভিস ‘১২১’ এবং কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলাস্থ গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যোগাযোগ করেও এর কোন প্রতিকার পাননি। এতে তিনি ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করে গতকাল বুধবার দুপুরে গ্রামীণফোন কোম্পানী লিমিটেডের সিইও-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার ১নং যুগ্ম জেলা জজ মীর এম. তাজুল হকের দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা এবং প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলামের আদালতে আরো একটিসহ দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় গ্রামীণফোন লি: কোম্পানি বিধায় এ কোম্পানির পক্ষে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস এবং ডাক তার ও টেলিযোগাযোগ সচিবসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়। আদালত শুনানি শেষে আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে বিবাদীদের বিজ্ঞ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. সাব্বির এ. মুকীম।