মিশরে নারী-পুরুষ অনলাইনে চ্যাটিং নিষিদ্ধ করেছে দেশটির শীর্ষ ফতোয়া বিষয়ক ইসলামিক কাউন্সিল দার-আল-ইফতা। এতে করে মিশরে নতুন এক বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। এ খবর দিয়েছে গালফ নিউজ।
ফতোয়াতে দার-আল-ইফতা বলেছে, এমন চ্যাটিং ধর্মীয়ভাবে অনুমোদনযোগ্য নয়। কেননা এগুলো শয়তানের হাতিয়ার এবং অসন্তোষ ও দুর্নীতি ছড়ানোর উপায়। নিজের সম্মান রক্ষা করতে অপরিচিতদের কাছে ছবি পাঠানো উচিত নয় বলে মেয়েদেরকে পরামর্শ দিয়েছে কাউন্সিল।
ফতোয়াতে দার-আল-ইফতা বলেছে, এমন চ্যাটিং ধর্মীয়ভাবে অনুমোদনযোগ্য নয়। কেননা এগুলো শয়তানের হাতিয়ার এবং অসন্তোষ ও দুর্নীতি ছড়ানোর উপায়। নিজের সম্মান রক্ষা করতে অপরিচিতদের কাছে ছবি পাঠানো উচিত নয় বলে মেয়েদেরকে পরামর্শ দিয়েছে কাউন্সিল।
অনলাইন চ্যাটিংয়ের বিষয়ে ইসলামের অভিমত কি এক মুসলিমের এমন প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার এ ফতোয় জারি করেছে দার-আল-ইফতা। অনেক আলেম এ ফতোয়াকে সমর্থন দিলেও বিপক্ষেও রয়েছে অভিমত।
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক থিওলজি ও ফিলোসফি বিষয়ক অধ্যাপক আমনা নুসেইর বলেন, এ ফতোয়া অবাস্তব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটগুলো আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে এবং এটাকে অস্বীকার করা যাবে না। চ্যাটিং ধর্মীয়ভাবে অনুমোদন যোগ্য কি না সেটা নির্ভর করবে চ্যাটের বিষয় বস্তুর ওপর। ফতোয়াতে চ্যাটিং সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে একান্ত প্রয়োজনের পরিস্থিতি পর্যন্ত। মিশরের উঠতি প্রজন্ম এর ব্যাপক সমালোচনা করেছে।
আহমাদ আল সাঈদ নামক টুইটার ব্যবহারহারী টুইট করেছেন, চ্যাটিং আন-ইসলামিক? দার-আল-ইফতা দেশের যাবতীয় অবৈধ বিষয় বাদ দিয়ে মনোযোগ দিয়েছে অনলাইন চ্যাটিংয়ের দিকে। আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আরব বিশ্বের সব থেকে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ মিশরের ৮ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ।