কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে গরু-ছাগলসহ পশু মোটাতাজাকরণ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
কোরবানির হাটে আনীত গরু-ছাগল কেমিক্যাল দিয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য পশু চিকিৎসকদের সমন্বয়ে প্রতিটি হাটে একটি করে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটে ক্ষতিকর ওষুধের মাধ্যমে মোটাতাজাকরণ পশু কোরবানির হাটে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।
এছাড়াও মোটাতাজাকরণ ওষুধ ব্যবহার বন্ধে নীতিমালা তৈরির জন্য সাত দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে মাত্রারিতিক্ত মোটাতাজাকরণ ওষুধ ব্যবহার বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ওষুধ ব্যবহার বন্ধে কার্যকর নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
মনজিল মোরসেদের দাবি, স্বল্পমূল্যে রুগ্ন ও অসুস্থ গরু কিনে বাড়িতে দুই থেকে তিন মাস বেঁধে রেখে অধিক লাভের আশায় ভারতীয় পারকোটিন, থাইল্যান্ডের মাইকোডিন ও ডেক্সাউইনের পাশাপাশি ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা স্বল্পমূল্যের বড়ি গবাদিপশুকে খাওয়ানো হচ্ছে।
সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও প্রশাসনের দুর্বল নজরদারির কারণে উপজেলার খামারিরা দুর্বল ও রোগগ্রস্ত গবাদিপশুকে এসব ট্যাবলেট খাওয়ানো হচ্ছে।