স্টাফ রিপোর্টারঃ পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছেন, ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ক্যামেরা স্থাপন করে মহাসড়কে যানজট ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
তিনি বুধবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়ে ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ক্যামেরা স্থাপন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি এক স্থানে স্থির থাকে না। প্রযুক্তি চলমান। আজকে যে প্রযুক্তি আছে, তা আগামী প্রযুক্তির কাছে পুরনো হয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করছি প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ার জন্য। যাতে করে আমরা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি। এর ধারাবাহিকতায় এখন আমরা ইন্টারনেট প্রটোকল ক্যামেরা প্রযুক্তির দিকে চলে এসেছি। এটা এখন সময় উপযোগী প্রযুক্তি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে করে মানুষকে আরো বেশি করে সেবা দিতে পারি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন : বাংলাদেশ হাইওয়ের ডিআইজি আসাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজ মো. মাহফুজুল হক নুরুজ্জমান, ডিআইজি (অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন, গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক প্রমুখ।
আইজিপি বলেন, আইপি ক্যামেরা স্থাপন করে যানবাহন চলাচল ও অপরাধ নিয়ন্ত্রন করা শুরু হয়েছে। আইপি ক্যামেরা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে তদারকি কর্মকর্তারা সহজেই যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। শুধু যানবাহন নিয়ন্ত্রণ নয়, ভবিষ্যতে মহাসড়কের অপরাধও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। অপরাধীদের প্রমাণসহ গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এই প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহারের চেষ্টা করছি। এর জন্য দেশের মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সামনের ঈদে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ পড়বে এটাকে মাথায় রেখেই আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তায় ৫টি, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ৫টি, শ্রীপুরের মাওনা-চৌরাস্তায় ৪টি আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মূল সার্ভার রুম থেকে পুরো ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ ব্যবস্থায় প্রচলিত সিসি ক্যামেরা সিস্টেমের সব সুবিধার পাশাপাশি থ্রিজি প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপনীয় ও সুরক্ষিত ইন্টারনেট প্রটোকল দিয়ে যে কোনো জায়গা থেকে লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন পয়েন্টর সর্বশেষ তাৎক্ষণিক অবস্থা দেখা যাবে।