কাপাসিয়ায় জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি ছানাউল্লাহ ও উপজেলা আমির সেফাউল হকসহ ৬৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আফছার বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৩৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ছয় জামায়াতকর্মীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন, ঘাগটিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি আমিন উদ্দিন মোল্লা (৬০), জামায়াতকর্মী জালাল উদ্দিন (৫০), আবুল কাশেম (১৮), মোশারফ (৫০), মিজানুর রহমান (২০), মাসুদুর রহমান (৪৩)।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর বুধবার সন্ধ্যায় কাপাসিয়ার খিরাটী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতে ইসলামী। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিতে গেলে জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৯ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
সংঘর্ষে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফছার আহমেদ, কনস্টেবল আবুল কালাম, আনসার ইউসুফ, জামায়াত নেতা ইমতিয়াজ হোসেন বকুল, জসিম, রতন মাস্টার, শাজাহান, আলম, সিরাজ, হামিদসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
কাপাসিয়া থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিলে জামায়াত-শিবির তাদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।