সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাস্তা খারাপ হলে আমি টেনশনে ঘুমোতে পারি না, আমার টেনশন হয়। গত ক’দিনের ভারী বর্ষণের কারণে দেশের মহাসড়কগুলোর যে বেহাল অবস্থা হয়েছে সেজন্য আমি চিন্তিত, দুখিঃত।
আগামী ঈদুল আযহা ও দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে মহাসড়কগুলো সংস্কারের যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এবার মহাসড়কের ওপর ও মহাসড়কের পাশে কোন কোরবানীর পশুর হাট বসবে না। সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমি আশা করি গত ঈদুল ফিতরের মত এবারের ঈদেও ঘরমুখো মানুষদের ঘরে ফেরা নিরাপদ হবে।
বেহাল সড়ক নিয়ে দুশ্চিন্তা হয় এমন মন্তব্য করে মন্ত্রীর আরো বলেন, অসময়ে ক’দিনের টানা বর্ষনে ভারী যানবাহন চলাচলে রাস্তাতো নষ্ট হবেই। প্রতিদিনই সারা দেশে আমি কথা বলি খোঁজ খবর নেই। যখনই ইঞ্জিনিয়াররা আমাকে দুঃসংবাদ দেয় রাস্তা খারাপ, তখন আমার টেনশন বেড়ে যায়। সামনের ঈদ এবং দুর্গা পূজায় ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ফিরতে পারে সেজন্য আমরা মাঠে নেমেছি। আমাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। রাস্তা সচল করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। আগামি ২-৩ দিন যদি ড্রাই পাওয়া যায় তবে রাস্তা চলাচল উপযোগী হয়ে যাবে।
২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকালে মহাসড়কের বেহালদশা পরিদর্শন করতে গিয়ে গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রীর সাথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করন প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল যোবায়ের সালেহীন, উপ-পরিচালক লে. কর্নেল আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহসীন, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আবুল কালাম আজাদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ মুসা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করনের কাজ আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যেই শুরু হবে। আর এই মহাসড়কের দুই পার্শ্বে অসৎ উদ্দ্যেশ্যে স্থাপিত স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হবে। এসময় মন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করণ প্রকল্পের কাজ আগামী মার্চের মধ্যে শেষ করা হবে।
এসময় মন্ত্রী ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর ময়লা আবর্জনার ভাগাড় অপসারণে গাজীপুর সিটি মেয়রকে অনুরোধ করেন এবং তেলিপাড়া এলাকায় সড়কে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড অপসারনের জন্য হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশ দেন।