স্টাফ রিপোর্টারঃ বিয়েতে অসম্মতি জানানোর কারণে প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে এক কিশোরী। এ ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা (বেতজুরী) গ্রামে।
জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে বিষপান করা কাকলী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাকলী আক্তার (১৯) মারা যান।
কাকলীর চাচা কামরুল ইসলাম জানান, কাকলী স্থানীয় মাওনা পিয়ার আলী ডিগ্রী কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দু’বিষয়ে ফেল করে। লেখাপড়া চলাকালে ২বছর আগে বেতজুরী গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে সফিকুল ইসলামের (২৫) সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিয়ের আশ্বাস দিলে কনিকা তার সাথে আরো ঘনিষ্ঠ হয়। সম্প্রতি তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক হলে কাকলী দু’মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনালাপের রেকর্ডিং থেকে জানতে পারি, কাকলী ওই সন্তান গর্ভপাত করে ফেললে সফিক তাকে বিয়ে করবে। বিয়ের আগে সন্তান হলে মানুষ নানা কথা বলবে। প্রেমিকের কথামতো কাকলী গর্ভপাত ঘটায়। কাকলীর মা রহিমা বেগম জানান, তার মেয়েকে সফিক দু’দফা গর্ভপাতের ওষুধ এনে দিয়েছিল।
কাকলী গর্ভপাতের পর সফিকের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সফিক তাকে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায়। পরে গেল ঈদের ক’দিন আগে তার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে শালিস ডাকা হয়। এ শালিস চলাকালে বিয়েতে সফিকের অসম্মতির কথা জানালে কাকলী নিজ ঘরে গিয়ে বিষপান করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকার উত্তরার ফরচুন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে আইসিইউতে রেখে চিকৎসার পরও অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় কাকলী। এ ঘটনার পর থেকে সফিক পলাতক রয়েছে। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
শ্রীপুর থানার ওসি মোহসীন উল কাদির জানান, কাকলীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি।