![]() |
ডিউটিরত চেয়ারে বসে ঘুষের টাকা গুনছে ইনর্চাজ একরামুল হক |
এম এ আজিজঃ গাজীপুর সদর থানাধীন পুবাইল ফাঁড়ির ইনর্চাজ একরামুল হক উক্ত ফাঁড়িতে যোগদানের পর থেকে প্রতিনিয়ত কর্তব্যে ফাঁকি দিয়ে ঘুষ বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা গেছে। দেশের এ সংকটময় মুহূর্তে সরকারে শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তারা যখন আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। তখন এসআই একরামুল হকে এহেন কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী বিস্ময় প্রকাশ করছেন।
গাজীপুর জেলা সদরের জয়দেবপুর থানা অধীনস্ত ফাঁড়িগুলোর কতিপয় এএসআই, এসআই ঘুষ বাণিজ্যের কারনে এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। ফলে এলাকায় দিন দিন অপরাধীদের অপরাধ প্রবণতা বেড়েই চলছে। আর এসব অপরাধীদের কতিপয় এএসআই, এসআইরা ফাঁড়িতে ডেকে এনে জামাই আদরে তাদের সোর্স বানিয়ে বিভিন্ন ভাবে গ্রেফতার বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বর্তমানে পুবাইল ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই একরামুলের কত টাকার প্রয়োজন তা তিনি নিজেও জানেন না বলে অনেকেই মনে করছেন। গত কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাদক ব্যবসায়ী, চোর, ছিনতাইকারীসহ বাইপাস রোডে কর্তব্যরত থাকা অবস্থায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের নামে এবং ফাঁড়িতে গরু কোরবানী করার নামে বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে চাঁদা উঠিয়ে কামিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়াও ফাঁড়ির ইনচার্জের নির্দেশে এখানকার পুলিশ সদস্যদের প্রায় সবাই ঘুরছেন টাকার পিছনে। বিভিন্ন স্থানে চেক পোস্ট বসিয়ে ও যানবাহন তল্লাশী, রিকুইজিশনের নামে চলছে ঘুষ বানিজ্য। এসব পুলিশের কাছে অপরাধী ধরার চেয়ে যানবাহনের কাগজপত্র দেখার নামে টাকা নেয়াই যেন ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য।
অনুসন্ধানে গাজীপুর পুলিশের নানা ‘অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ড’ সম্পর্কিত অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। এই সেই এসআই একরামুল হক কথায় কথায় যিনি বলে বেড়ান আমার বাড়ী গোপালগঞ্জ। শেখ সেলিমের লোক আমি। ইতিপূর্বে ভোগড়া ফাঁড়িতে থাকাকালীন তার অফিসে বসে ঘুষের টাকা নেয়ার চিত্রসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে পুবাইল ফাঁড়ির ইনর্চাজ একরামুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে লেখা লেখি করে কিছুই হবে না । নতুন এস,পিকে এবং নতুন ওসিকে ম্যানেজ করতে হয়। ১৫/১৬ দিন হয়েছে পুবাইলে এসেছি এতো টাকা কামিয়েও বাড়ীতে টাকা পাঠাতে পারলাম না।