মোবাইল ফোনের মাধ্যম ব্যাংকিং সেবা দিয়ে বাংলাদেশ ‘দৃষ্টান্ত’ স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মাইক্রোসফট রূপকার বিল গেটস। তিনি বলেছেন, “বিশ্বে ধনীরাই কেবল ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছেন। তারা মোটা অর্থের ঋণ, ইন্স্যুরেন্সের সুবিধাসহ অন্য সব সেবা নিচ্ছেন। অপরদিকে গরীবেরা ব্যাংকিং সেবা থেকে অনেক দূরে। এমন পরিস্থিতিতে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বিশেষ করে মোবাইল ফোন বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এসব উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।”
বোস্টনে ব্যাংকিং খাত বিষয়ক এক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় গেটস বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি বিকাশের প্রশংসা করে বিল গেটস এসব কথা বলেন।
মোবাইল ফোনের মাধ্যম ব্যাংকিং সেবা দেয়াকে দৃষ্টান্ত হিসেবে অভিহিত করে এই অনুষ্ঠানে গেটস বলেন, “বিকাশের কার্যক্রম শুরুর পর এখন বাংলাদেশের এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ অর্থ স্থানান্তর, কেনাকাটা করে বিল পরিশোধের মতো আর্থিক সেবা গ্রহণ করছে।”
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রসারের প্রসঙ্গ টেনে মাইক্রোসফট রূপকার বলেন, “২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং শুরুর পর থেকে একজন এ সেবা গ্রহীতার সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ১৯টি ব্যাংক এ সেবা চালু করেছে।’’
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের ব্র্যাক ব্যাংকের প্রকল্প বিকাশে বিনিয়োগ করেছে বিল গেটস এর দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’।
“বিশ্বে ধনীরাই কেবল ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছেন। তারা মোটা অর্থের ঋণ, ইন্স্যুরেন্সের সুবিধাসহ অন্য সব সেবা নিচ্ছেন। অপরদিকে গরীবেরা ব্যাংকিং সেবা থেকে অনেক দূরে’’ বলে মন্তব্য করেন বিল গেটস।
এসব গরীবদের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিতে ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন’ বহুমুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলে জানান মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান।