আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রিসভায় থাকবেন না। হজ নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্য নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে শুক্রবার বিকেলে গণভবনে এক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
'অবিবেচকের মতো' কথা সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেটি আমি বলেছি সেটিই করব। তাকে মন্ত্রিসভায় রাখব না। সে থাকবে না। কবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন মন্ত্রীকে বিদায় দিতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হবে।
আমি নির্দেশ দিলে রিজাইন (পদত্যাগ) করতে হবে। নইলে বিদায় করে দিতে হবে। কিন্তু বিদায় দিতে হলে রাষ্ট্রপতির কাছে ফাইল পাঠাতে হবে। রাষ্ট্রপতি হজে গেছেন। আমি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ফাইল তৈরি করে রাখতে বলেছি, তারা ফাইলও তৈরি করেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'বাদ দিতে হলে তা নিয়ে দলে আলোচনা করতে হবে'। অভিযোগ তুলে ধরে আলোচনা করতে হবে। ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এর অাগে মন্ত্রিসভার সদস্য ও জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী সবাইকে হজ আর ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, “সবাইকে হজের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সবাই যাতে সহি সালামতে দেশে ফিরে আসেন সেই কামনা করছি। 'সবাইকে ঈদের আগাম মুবারকবাদ জানাচ্ছি'।
প্রধানমন্ত্রী তার লিখিত বক্তব্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনে যোগ দেয়ার অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন কর্মসূচির কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। পরে সাংবদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।