স্পেনে ইবোলায় আক্রান্ত দেশটির প্রথম ব্যক্তি ইবোলামুক্ত বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে, তিনি পুরোপুরি ইবোলামুক্ত কিনা সেটি নিশ্চিত হবার জন্য দ্বিতীয় আরেকটি পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
স্পেন সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইবোলা রোগ থেকে সেরে উঠেছেন এমন রোগীদের রক্তের জলীয় উপাদানে থাকা প্রতিষেধক এবং অন্যান্য ঔষধের মাধ্যমে ওই সেবিকাকে সারিয়ে তোলা হয়েছে।
এদিকে, বার্লিনে শুরু হওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ইবোলা মোকাবেলায় বৃহত্তর বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। চলতি মাসের শুরুতে, মাদ্রিদের একটি হাসপাতালে ইবোলা আক্রান্ত দুইজন পাদ্রীকে সেবা দেবার পর, তেরেসা রোমেরো নামের চুয়ালিশ বছর বয়সী ওই সেবিকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তার শরীরে ইবোলার জীবাণু পাওয়া যায়।
তবে, স্পেনের সরকার জানিয়েছে, মিস রোমেরো এখন ইবোলামুক্ত। তাকে পুরোপুরি ইবোলামুক্ত ঘোষণা করার জন্য দ্বিতীয় আরেকটি পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
মিস রোমেরো ইবোলা আক্রান্ত হবার পর তার স্বামীকে তার কাছ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলা হয়। এখন সরকারি ঘোষণার পর হ্যাভিয়নের লিমন বলছেন, স্ত্রীর সেরে ওঠার খবরে তিনি যারপরনাই আনন্দিত।
তিনি বলেছেন, আমি খুশী যে তেরেসার সেরে উঠেছে। হাসপাতালে এতদিন ধরে স্বেচ্ছায় বন্দিত্ব গ্রহণ করে, আমি তার রোগমুক্তির জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু দেশটির সরকার ইবোলা চিকিৎসায় অদক্ষ বলে অভিযোগ করছেন মি লিমন।
এদিকে, বার্লিনে শুরু হওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইবোলা মোকাবেলায় বৃহত্তর বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন পশ্চিম আফ্রিকায় এ রোগে আক্রান্তদের সারিয়ে তুলতে বহু সংখ্যক দক্ষ চিকিৎসক এবং প্রচুর চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে, সেসব যোগান দিতে উন্নত বিশ্বকেই এগিয়ে আসতে হবে।
- বিবিসি