একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
আটজনকে নির্যাতনের পর হত্যা ও লাশ গুম এবং ২৪ জনকে অপহরণের পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন নির্যাতনকেন্দ্রে আটকে রেখে নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী ১৪টি অভিযোগে অভিযুক্ত হন মীর কাসেম আলী। এ ১৪ অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়েছে। বাকি ৪টি প্রমাণিত হয়নি। এর মধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি অর্থাৎ ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং ৪টি অর্থাৎ ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেননি বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার সকাল বেলা ১১টায় রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়া শুরু করেছেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বিচারক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া।
এর আগে সকাল দশটা ৫০ মিনিটে ১০ মিনিটের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। দশটা ৪৮ মিনিটে বিচারকরা আসন নেন এজলাসকক্ষে।
সূচনা বক্তব্যে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেছেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৩টি অভিযোগের বিষয়ে সর্বসম্মত রায় দেবো আমরা। বাকি একটি অভিযোগের বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেওয়া হবে।
এই প্রথম সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় হবে বলেও সূচনা বক্তব্যে জানান চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষে আসামির কাঠগড়ায় তোলা হয় আসামি মীর কাসেম আলীকে। তার পরনে রয়েছে হাফ হাতা আকাশি রঙের জামা ও প্যান্ট।