সারাদিন বিদ্যুৎ বিপর্যয় শেষে স্বাভাবিক হতে চলেছে রাজধানীর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাবস্থা। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে দাবি করেছে পিজিসিভি কর্তৃপক্ষ।
রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বনানী, বাড্ডা, খিলক্ষেত, রামপুরা, মিরপুর, গাবতলীসহ কয়েকটি স্থানেও বিদ্যুতের দেখা মেলে বলে এসব এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
জানা যায়, রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় প্রথম বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্বাভাবিক হয় শনিবার রাত ৮টা ২৩ মিনিটে। এরপর পুরান ঢাকায় রাত পৌনে ৯টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
এছাড়া খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলায় সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ আসার খবর পাওয়া গেছে।
এসব এলাকায় মধ্যে কয়েকটিতে বিদ্যুৎ আসার পরপরই আবার চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘণ্টাখানেক বাদে আবার আসতেও দেখা যায়।
চট্টগ্রামের কাজীর দেউরী, আসকার দীঘির পাড়, ঘাট ফরহাদবেগ, আন্দরকিল্লা, জামাল খান এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যুৎ এলেও সন্ধ্যা ৭টার দিকে আবার চলে যায়।
চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে তা ‘রেশনিংয়ের’ মতো করে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
পিডিবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. মনিরুজ্জামান জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া শুরু হয়েছে।
রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী স্বপন চক্রবর্তী জানান, বিকাল ৫টার পর থেকে চট্টগ্রামের কাপ্তাই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটিতেই উৎপাদন শুরু হয়েছে।
এছাড়া সন্ধ্যার পর থেকে হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হয়। এছাড়া একই সময়ে দোহাজারী পাওয়ার প্ল্যান্টও চালুর পথে ছিল বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীলরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কতক্ষণে স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দেয় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।
তবে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় এ ভোগান্তি দেখা দেয়নি।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় গ্রিডে ক্রটি দেখা দেয়ার পর থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। বিদ্যুত বিভাগের তরফে শত প্রচেষ্টা সত্বেও স্বাভাবিক করা যাচ্ছিল না বিদ্যুৎ সরবরাহ। এর মধ্যে বিকালে দ্বিতীয় দফায় ক্রটি দেখা দিলে সরবরাহ কার্যক্রম আরো অনিশ্চয়তায় পড়ে। আশংকা দেখা দেয় সরবরাহ স্বাভাবিক করতে ঠিক কত সময় লাগতে পারে তা নিয়ে।