স্টাফ রিপোর্টারঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় বিআরটিসি বাসের এক চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ তিন চালককে জরিমানা করেছে পুলিশ।
রোববার গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গাড়ির ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষার সময় মামলা ও জরিমানা করা হয়।
একই সঙ্গে টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিং মহাসড়কে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেন গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন নাহার।
গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করতে রোববার সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে গাজীপুর থেকে ঢাকার গাবতলী রুটে চলাচলকারী বিআরটিসি বাস চালকদের মধ্যে হালকা লাইসেন্স দিয়ে ভারী (ডাবল ডেকার) বাস চালানোর অভিযোগে চালক মাসুদুল হাসান আক্কাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় চালক মো. মঞ্জুরুল (হালকা ফটোকপি) ও রকি কর্তৃক চালিত বিআরটিসির দুই বাসকে রেকারিং করে ৮শ’ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। যা বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকেই পরিশোধ করতে হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পদ্ধতিগত ও আইন প্রয়োগে সীমাবদ্ধতা থাকায় বিআরটিসির চালকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গাড়ি রেকারিং করে জেলা পুলিশ লাইনে নিয়ে রেকার বিল জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চালানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় মহাসড়কগুলোতে অনেকটাই শূন্য হয়ে পড়ে বিআরটিসি বাস চলাচল।
এদিকে গাজীপুরের ট্রাফিক বিভাগ চালক লাইসেন্স না থাকায় বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৪৮ চালকের বিরুদ্ধে মামলা ও অবৈধ পার্কিং করার অপরাধে ৩২টি বাস-মিনিবাসকে রেকারিং করে জেলা পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট:
অপরদিকে রোববার দুপুরে টঙ্গীর চেরাগ আলী মার্কেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন নাহার।
ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন নাহার জানান, চালকদের লাইসেন্স না থাকা, গাড়ির ফিটনেস না থাকায় এবং ইন্সুরেন্স হালনাগাদ না থাকার অভিযোগে ২০টি বিভিন্ন ধরণের গাড়ি আটক ও ১৭ হাজার ৮০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।