স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসহ (বিজিবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আটক মাদকদ্রব্যের হিসাব চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। পাশাপাশি কমিটি মাদক সংক্রান্ত মামলাগুলোর ডাটাবেজ তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া মাদক আইনে আটককৃতদের জামিন বন্ধে আইন সংশোধনেরও তাগিদ দিয়েছেন তারা।
রবিবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কমিটির সভাপতি টিপু মুন্সির সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মো. মোজাম্মেল হোসেন, শামসুল হক টুকু, ওমর ফারুক চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, ফখরুল ইমাম এবং কামরুন নাহার চৌধুরী।
বৈঠকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে করণীয় এবং এর প্রতিরোধের উপায় অনুসন্ধানে কমিটির সদস্য ওমর ফারুককে আহ্বায়ক করে গঠিত তিন সদস্যের সাব কমিটির মেয়াদ আরও ছয়মাস বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্র জানায়, কমিটি মাদক প্রবেশের রুট এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে একটি তালিকা তৈরি করে সংসদীয় কমিটিতে জমা দেওয়ার জন্য বিজিবি, র্যাব, সিআইডি, কোস্টগার্ড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে।
বৈঠকে মাদক আইনে গ্রেফতারকৃতদের জামিন বন্ধে আইন সংশোধন করে তা দ্রুত সংসদে উত্থাপনের তাগিদ দিয়েছে কমিটি।
সূত্র জানায়, বৈঠকে কমিটির সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সাংসদদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সেমিনার, নাট্যব্যক্তিত্বদের দিয়ে নাটক তৈরি ও জেলায়-জেলায় এ বিষয়ে কর্মশালা করার পরামর্শ দেন।
ফরিদুল হক খান মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের কথা বলেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার মাদক নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের কথা বলেন বলে জানা গেছে।