পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বহিষ্কৃত সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মাথার দাম হাঁকা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা!বাংলাদেশের ধর্মীয় মৌলবাদী দল হেফাজতে ইসলাম টাঙ্গাইল-৪ আসনের এমপি লতিফ সিদ্দিকীর মাথার দাম নির্ধারণ করেছে অতি গোপনীয়তার সঙ্গে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,গত মাসের ১১ তারিখ সৌদি আরবে গিয়ে একটি গোপন বৈঠক করেন হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমেদ শফী। বৈঠকের এজেন্ডা ছিল সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মাথার দাম নির্ধারণ। ওই বৈঠকে লতিফ সিদ্দিকীর মাথার দাম পাঁচ লাখ নির্ধারণ করেন হেফাজত নেতারা।
সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।প্রতিবেদনটি গত মাসেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১১ অক্টোবর হেফাজত আমির শাহ আহমেদ শফী সৌদি আরবে একটি গোপন বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে লতিফ সিদ্দিকীর মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-মধুপুরের পীর মাওলানা আবু হামিদ, মাওলান তাজুল ইসলাম, মাওলানা সাজিদুর রহমান, আবুল হাসনাত আমিনী,মাওলানা শফি উদ্দিন, মাওলানা আতাউল্লাহসহ হেফাজতের শীর্ষ প্রায় একশ নেতা।
গত ১১ অক্টোবর মক্কার কাকিয়ায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৯ টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই বৈঠক চলে।বৈঠকের স্থান ও সময় নিয়ে প্রথম থেকেই কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। দুই থেকে তিনবার বৈঠকের জায়গাও পরিবর্তন করা হয়। বৈঠকে হেফাজতের কর্মসূচি, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও লতিফ সিদ্দিকী ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে আহমেদ শফী বলেন,তার অর্থনৈতিক অবস্থা ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেক গুজব রয়েছে। তিনি এসবে কান না দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। দেশের রাজনীতি নিয়ে হেফাজতের এই আমির বলেন, আমি কোন পক্ষের রাজনীতির মধ্যে নেই। আমি আমার অনুসারীদের নিয়ে ইসলাম রক্ষার জন্য কাজ করছি। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও রীতিনীতি রাজনীতিরই একটা অংশ। আর আমি সেটাই করছি।
হেফাজত আমির আরো বলেন, আমি আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপি কোন দলের জন্যই কাজ করছি না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সিনিয়ির সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এ প্রসঙ্গে বলেন, তিনি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ব্যাপারে কিছুই জানে না। তবে যুগ্ম সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিবেদনটি যখন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয় তখন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন।
পুলিশের আইজিপি হাসান মাহমুদ খনন্দকার (বর্তমানে মোনাকোতে রয়েছেন) জানিয়েছেন, দেশে ফেরার পর বিষয়টি নিয়ে দেখবো।
হেফাজতের সেক্রেটারি আজিজুল হক ইসলামাবাদী গোপন বৈঠকের কথা অস্বীকার করে বলেন, গত মাসে হজের সময় শফী সাহেব দলের কিছু নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে এক মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।ঐ ঘটনার পর সারাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।একটি ধর্মীয় সংগঠন হরতালও পালন করে।
উৎসঃ ঢাকাটাইমস
সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।প্রতিবেদনটি গত মাসেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১১ অক্টোবর হেফাজত আমির শাহ আহমেদ শফী সৌদি আরবে একটি গোপন বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে লতিফ সিদ্দিকীর মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-মধুপুরের পীর মাওলানা আবু হামিদ, মাওলান তাজুল ইসলাম, মাওলানা সাজিদুর রহমান, আবুল হাসনাত আমিনী,মাওলানা শফি উদ্দিন, মাওলানা আতাউল্লাহসহ হেফাজতের শীর্ষ প্রায় একশ নেতা।
গত ১১ অক্টোবর মক্কার কাকিয়ায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৯ টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই বৈঠক চলে।বৈঠকের স্থান ও সময় নিয়ে প্রথম থেকেই কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। দুই থেকে তিনবার বৈঠকের জায়গাও পরিবর্তন করা হয়। বৈঠকে হেফাজতের কর্মসূচি, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও লতিফ সিদ্দিকী ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে আহমেদ শফী বলেন,তার অর্থনৈতিক অবস্থা ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেক গুজব রয়েছে। তিনি এসবে কান না দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। দেশের রাজনীতি নিয়ে হেফাজতের এই আমির বলেন, আমি কোন পক্ষের রাজনীতির মধ্যে নেই। আমি আমার অনুসারীদের নিয়ে ইসলাম রক্ষার জন্য কাজ করছি। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও রীতিনীতি রাজনীতিরই একটা অংশ। আর আমি সেটাই করছি।
হেফাজত আমির আরো বলেন, আমি আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপি কোন দলের জন্যই কাজ করছি না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সিনিয়ির সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এ প্রসঙ্গে বলেন, তিনি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ব্যাপারে কিছুই জানে না। তবে যুগ্ম সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিবেদনটি যখন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয় তখন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন।
পুলিশের আইজিপি হাসান মাহমুদ খনন্দকার (বর্তমানে মোনাকোতে রয়েছেন) জানিয়েছেন, দেশে ফেরার পর বিষয়টি নিয়ে দেখবো।
হেফাজতের সেক্রেটারি আজিজুল হক ইসলামাবাদী গোপন বৈঠকের কথা অস্বীকার করে বলেন, গত মাসে হজের সময় শফী সাহেব দলের কিছু নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে এক মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।ঐ ঘটনার পর সারাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।একটি ধর্মীয় সংগঠন হরতালও পালন করে।
উৎসঃ ঢাকাটাইমস