স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের হাঙ্গামার ঘটনায় রোববার রাতে জয়দেবপুর থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মান্নানকে প্রধান আসামি করে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৩০০-৪০০ অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে আটক ৫ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- ছাত্রদল নেতা সোহেল রানা (৩০), আবু সালেহ (২৮), আজিজুল ইসলাম (২৭), নান্টু (২৯), আনোয়ার হোসেন (৩০)। তারাও এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা এবং বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে হাঙ্গামা সৃষ্টি ও মারধর করে পুলিশকে আহত করার অভিযোগে জয়দেবপুর থানার এসআই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে অন্তর্দলীয় কোন্দলের ফলে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা উশৃঙ্খল হয়ে রাস্তায় নেমে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।
এ সময় উশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে লাঠি দ্বারা আঘাত এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
মামলায় অধ্যাপক মান্নান ছাড়াও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আহম্মদ আলী রুশদী, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূইয়া, শিরিন চাকলাদার, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আহমেদ ও সদর থানা যুব দলের আহ্বায়ক বশির আহম্মেদ বাচ্চুকে আসামি করা হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল করিম রেজা বলেন, "রোববার রাতেই ওই মামলা করা হয়েছে। পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা এবং বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে হাঙ্গামা সৃষ্টি ও মারধর করে পুলিশকে আহত করার অভিযোগে ওই মামলা করা হয়েছে।"
গত রোববার দুপুরে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় ১৭ জন পুলিশসহ বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন।