স্টাফ রিপোর্টারঃ মুসা বিন শমসের ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান। যিনি বাংলাদেশের বিজনেস মোগল নামে পরিচিত। তাকে প্রিন্স মুসা বলা হয়। তিনি অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিত। ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুযায়ী বর্তমানে তিনিই বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তার ব্যবহিত রোলেক্স হাত ঘড়িটির দাম ৫০ লাখ মার্কিন ডলাম মাত্র।
মুসা ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে অনুদান দিতে চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। লেবার পার্টির টনি ব্লেয়ার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য তার পাঁচ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রত্যাখ্যান করেন।
নিম্নে মুস বিন শমসেরের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো;
জন্ম ও শিক্ষা : ড. মুসা ১৯৫০ সালের ১৫ অক্টোবর ফরিদপুরের এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। চার ভাই এবং দুই বোনের মাঝে তিনি পিতা-মাতার তৃতীয় পুত্র সন্তান। তার বাবা শমসের আলী মোল্লা ব্রিটিশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বড় কর্মকর্তা ছিলেন। পড়াশুনা করেছেন ক্যালিফর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে। ফোর্বসের হিসেব অনুযায়ী তাঁর মূল সম্পত্তি প্রায় ১২ বিলিয়ন ইউএস ডলারের উপরে।
ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বিয়াই হিসেবে পরিচিত মুসা। তিনি তরুণ বয়সেই ব্যবসা শুরু করেন। তার প্রথম ব্যবসয়িক জীবনে ড্যাটকো নামের এক বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। মুসা জনশক্তি রপ্তানিতে দেশের একজন দিকপাল হিসেবে পরিচিত। পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ড. মুসা বিন শমসের।
মুসা বিন শমসের বলেন, ‘৩ বিলিয়ন ডলার আমার জন্য বড় কোনো টাকা নয়। যতদিন পর্যন্ত পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন না হবে, ততদিন আমি সরকারকে সহায়তা দেব, তাদের সঙ্গে জড়িত থাকবো।’
এছাড়া সরকারকে জনশক্তি রফতানিতে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে মুসা বিন শমসের বলেন, ‘প্রথম যখন আমি বঙ্গবন্ধুর সহযোগিতায় জনশক্তি রফতানি শুরু করেছিলাম, তখন জনশক্তি রফতানির একমাত্র প্রাণকেন্দ্র ছিল মধ্যপ্রাচ্য। এখনো তেমনটি আছে। এটি শুধু জনশক্তি রফতানি নয়, এটাকে বলা যায় অফুরন্ত সম্পদ। যে সম্পদ কখনো শেষ হবার নয়। অথচ রাজনৈতিক বৈষম্য ও অদক্ষতার কারণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
মুসা বিন শমসের বলেন, ‘৩ বিলিয়ন ডলার আমার জন্য বড় কোনো টাকা নয়। যতদিন পর্যন্ত পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন না হবে, ততদিন আমি সরকারকে সহায়তা দেব, তাদের সঙ্গে জড়িত থাকবো।’
এছাড়া সরকারকে জনশক্তি রফতানিতে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে মুসা বিন শমসের বলেন, ‘প্রথম যখন আমি বঙ্গবন্ধুর সহযোগিতায় জনশক্তি রফতানি শুরু করেছিলাম, তখন জনশক্তি রফতানির একমাত্র প্রাণকেন্দ্র ছিল মধ্যপ্রাচ্য। এখনো তেমনটি আছে। এটি শুধু জনশক্তি রফতানি নয়, এটাকে বলা যায় অফুরন্ত সম্পদ। যে সম্পদ কখনো শেষ হবার নয়। অথচ রাজনৈতিক বৈষম্য ও অদক্ষতার কারণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’