স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যারা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে এবং অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াকে হত্যা করেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না।
তিনি বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না। নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে ২৯ জানুয়ারি আগে ৯০ দিনের মধ্যে যে কোনো একদিন।
রোববার বিকেলে গাজীপুরের জনপ্রিয় প্রয়াত সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৬৪তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, হাওয়া ভবনের নির্দেশে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার কারণ তার জনপ্রিয়তা। আজকে শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে না থাকতেন তবে বর্হিবিশ্বে এ দেশে পরিচিতি পেতো একটা জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে। আজ আমরা আন্তজার্তিক বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে সমাদৃত।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৬৫ ডলার, রপ্তানি ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্স ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। আজকে এখন মাথাপিছু আয় ১১৯০ ডলার, রপ্তানি ৩০ বিলিয়ন ডলার এবং রেমিট্যান্স ১৫ বিলিয়ন ডলার। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ ভাল আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। কিন্তু খালেদা জিয়ার তা পছন্দ হয় না। তাই তিনি যড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা একটা সংবিধান রচনা করেছিলাম। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সে সংবিধান তছনছ করেছে। এবং স্বাধীণতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। মানবতা বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধীর গাড়িতে খালেদা জিয়া ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের পতাকা তুলে দিয়েছে, তাদের মন্ত্রী করেছে। আজকে যখন তাদের ফাঁসির রায় হয় তখন বিএনপি নিশ্চুপ। তার মানে তারা তাদের পক্ষে।
বিএনপি কথায় কথায় আন্দোলনের ভয় দেখায়। এতদিন পরে খালেদা জিয়া উপলব্ধি করতে পেরেছেন তারিখ দিয়ে আন্দোলন হয় না। খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ৪টা ৫টা, যারা ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করে তাদের সঙ্গে আমাদের সংলাপ করতে হবে?
টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হকের সভাপতিত্বে টঙ্গীর সফি উদ্দিন সরকার একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আব্দুল সোবাহান গোলাপ, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমত উল্যাহ খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল, গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতা উল্যাহ মন্ডল, শ্রমিক লীগ নেত্রী শামসুন নাহার ভূইয়া প্রমুখ।