ডেস্ক রিপোর্টঃ ইরাকে আইএস’র (ইসলামিক স্টেট) হাতে বন্দী ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের নারীরা যৌন দাসত্বের শিকার হয়ে আত্মহত্যা ও এর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মঙ্গলবার এ দাবি করেছে। খবর আলজাজিরার।
এ্যামনেস্টির দাবি, আইএস যোদ্ধাদের হাতে বন্দী ইয়াজিদি নারীদের অত্যাচার, ধর্ষণ, জোরপূর্বক বিয়ে এবং ইরাক ও সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে অবস্থানরত আইএস সদস্যদের কাছে ‘বিক্রি’ বা ‘উপহার’ হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
এ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা দোনাতেলা রোভেরা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অত্যাচার, যৌন সহিংসতা ও যৌন দাসত্বের কারণে শত শত ইয়াজিদি নারী আত্মহত্যা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘যৌন দাসী হিসেবে অনেক শিশুকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকের বয়স ১৪-১৫ বা তার চেয়ে কম।’
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইএস’র হাতে বন্দী ছিল এমন ৪০ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ওই তথ্য পাওয়া গেছে।
বন্দিত্ব অবস্থা থেকে পালাতে সক্ষম হওয়া এক তরুণী জানায়, একদিন আমাদের নর্তকীদের পোশাকের মত পোশাক দিয়ে বলা হয়, গোসল করে ওগুলো পরে নিতে। গোসলখানায় গিয়ে জিলান (১৯) আত্মহত্যা করে। সে ছিল অনেক সুন্দরী। তার ধারণা হয়েছিল, এরপর তাকে ধর্ষণ করা হবে।
ওয়াফা নামে এক সাবেক বন্দী জানায়, সে এবং তার বোনকে বিয়ের হুমকি দেওয়ায় তারা আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
১৬ বছর বয়সী রানদা এ্যামনেস্টিকে জানায়, পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাকে অপহরণ করা হয়। সে ওখানে দুইবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলেও জানায়।
গত আগস্টে ইরাকের সিনজার পর্বতে ইয়াজিদিরা আটকা পড়ে।