স্টাফ রিপোর্টারঃ আবারও রান্নার গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। জানা গেছে, চলতি মাসের ৩য় সপ্তাহে দাম বাড়ানো সংক্রান্ত গণশুনানি শেষে দাম বাড়ার এ নির্দেশনা আসছে। ১ চুলার গ্যাসের দাম বাড়ছে ৩০০ টাকা। আর ২ চুলায় বাড়ছে ৩৫০ টাকা ।
গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে আবাসিক গ্রাহকদের ১ চুলার ক্ষেত্রে ৪০০ টাকার স্থলে দিতে হবে ৭০০ টাকা। আর ২ চুলার ক্ষেত্রে ৪৫০ টাকার স্থলে দিতে হবে ৮০০ টাকা।
জানুয়ারি থেকেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। অবশ্য আবাসিক খাতের পাশাপাশি বাণিজ্যিকসহ সব খাতেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে। অবশ্য পেট্রোবাংলার অধীনস্থ ছয়টি কোম্পানি সম্প্রতি সব ধরনের গ্যাসের দাম ১১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এরপরই প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করে গণশুনানি করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য সেলিম মাহমুদ।
বিইআরসি সূত্র জানায়, সব কোম্পানি একই হারে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো প্রয়োজন বলে যুক্তি দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি পৃথক প্রস্তাব দিয়েছে।
কোম্পানিগুলো ১ জানুয়ারি থেকে গ্যাসের নতুন দাম কার্যকর করার আবেদন করেছেন। তারা আবাসিক খাতে ১ চুলার গ্যাসের দাম ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা এবং ২ চুলা ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছে। আবাসিকে মিটার ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে প্রতি হাজার ঘনফুট ১৪৬ টাকা ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩৫ টাকা বা ৬০ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতি ইউনিট (১০০০ ঘনফুট) ১১৮ টাকা ২৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ২৬৮ টাকা ০৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা, চা শিল্পে ১৬৫ টাকা ৯১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা, শিল্প গ্রাহকদের জন্য ১৬৫ টাকা ৯১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২২০ টাকা, এবং সার কারখানায় ৭২ টাকা ৯২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও সিএনজি ফিলিং স্টেশনের গ্যাসের পাইকারি দাম প্রতি হাজার ঘনফুটে ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩২ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এর আগে ৩০শে অক্টোবর সব বিতরণ কোম্পানির পক্ষে পেট্রোবাংলা গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাব আইন অনুসারে যথাযথ হয়নি উল্লেখ করে কমিশন তা প্রহণ করেনি।
সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে সব পর্যায়ে কথা বলে গ্যাসের দাম চূড়ান্ত করা হয়। যা গণশুনানির পর ঘোষণা করা হবে। আবাসিক খাতে সবচেয়ে বেশি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কোম্পানিগুলো ১ চুলার ক্ষেত্রে ৮৫০ টাকা ও ২ চুলার ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা করার প্রস্তাব দিলেও এ মুহূর্তে ১ চুলায় ৭০০ ও ১ চুলার ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৮০০ টাকা। চলতি সপ্তাহেই গণশুনানির দিন ধার্য করা হবে।