স্টাফ রিপোর্টারঃ বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বোঝাকে সরাতে হবে। এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুরের বালু মাঠে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিকাল ৪টায় খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুরু হয়।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, এদেশে আজ কোনো প্রতিষ্ঠান ঠিক নেই। সব প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ ধ্বংস করছে। দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সবখানে চলছে দুর্নীতি। সিভিল প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের, এই মাস আনন্দের। কিন্তু মানুষের মনে আনন্দ নেই। কারণ তারা পদে পদে লাঞ্ছিত, গুম-হত্যার শিকার হচ্ছে।
খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এখনো খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাদের ধরা হয়েছে তাদেরকেও রাখা হয়েছে জামাই আদরে।
নারায়ণগঞ্জে সাতজন নয় ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, র্যাবের জিয়া হচ্ছে সবকিছুর হোতা। তার চাকরিতে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাকে চাকরিচ্যুত করতে হবে।
এর আগে, খালেদা জিয়া দুপুর সোয়া ২টায় তার গুলশানের বাসভবন থেকে রওয়ানা দেন। তিনি গুলশান, শেরাটন মোড়, পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, হাটখোলা, যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার হয়ে সোনারগাঁও কাঁচপুর বালুরমাঠের জনসভায় যোগ দেন।
খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে তাকে স্বাগত জানান অসংখ্য নেতাকর্মী। যাত্রাবাড়ি থেকেই সমাবেশস্থল পর্যন্ত তোরণ, ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলা হয়েছে। এসব তোরণ ফেস্টুনে শোভা পাচ্ছে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি।
সভায় বিএনপি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন- নারায়ণগঞ্জ জনসভায় প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান প্রমুখ।
উপস্থিত আছেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিবর, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মো. আক্ররামুল হাসান প্রমুখ।
২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতের ইসলামীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল মবিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির গরিবে নেওয়াজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জমিয়তে ওলামার মাওলানা মুহিউদ্দিন একরাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
জনসভায় উপস্থিত আছেন এনডিপির খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মুসলিম লীগের সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোর্ত্তজা ভূইয়া, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আমিনুর রহমান, লেবার পার্টির মহাসচিব হামিদুল্লাহ আল মেহেদী প্রমুখ।
এছাড়া স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান আঙ্গুর, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সোনারগাঁও বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস প্রমুখ।