স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন। এই পবিত্র দিনে খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশু জন্ম নিয়েছিলেন। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরাও আজ দিনটি আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে।
আজ সরকারি ছুটির দিন। এ দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে পালনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের খ্রিস্টান সমপ্রদায়ের লোকজন। দেশের সব গির্জা ও বড় বড় হোটেল আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো হয়েছে। রাজধানীর পাঁচতারকা বিভিন্ন হোটেলে বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে বড়দিনের। এসব হোটেলে শিশুদের জন্য ক্রিসমাস পার্টিসহ নানা ধরনের আয়োজন থাকবে। প্রধান আকর্ষণ হিসেবে সান্তাক্লজ আসবেন নানা উপহার ও চমক নিয়ে।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন ছিল। সেই নারীই হলেন কুমারী মেরি- মুসলমানদের কাছে যিনি পরিচিত বিবি মরিয়ম হিসাবে। ধর্মবিশ্বাস বলে, ‘ঈশ্বরের অনুগ্রহে ও অলৌকিক ক্ষমতায়’ মেরি কুমারী হওয়া সত্ত্বেও গর্ভবতী হন।
ঈশ্বরের দূত গ্যাব্রিয়েলের (জিব্রাইল) কথা মতো শিশুটির নাম রাখা হয় ‘যীসাস’। তৎকালীন ইহুদি সমপ্রদায়ের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসাবে আবির্ভূত এ শিশুটিই বড় হয়ে খ্রিস্টধর্ম প্রচার করেন। ইসলাম ধর্মবিশ্বাসে তাকে হযরত ঈসা (আ.) বলা হয়।
এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এডভোকেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তারা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তারা সবার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।