ডেস্ক রিপোর্টঃ শ্রীলঙ্কার পর এবার রাশিয়াতে আলু রপ্তানি হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এছাড়া বিগত কয়েক বছরে আমাদের দেশে শাক-সব্জির উৎপাদন প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে গেছে বলে জানান মন্ত্রী।
বুধবার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) ‘ব্রি বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০১৩-১৪’ -এ কৃষিমন্ত্রী একথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ চাল রপ্তানির পাশাপাশি আলু তথা সব্জি রপ্তানির সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের চাল ও আলু শ্রীলঙ্কায় রপ্তানি হচ্ছে। ভারতসহ অন্যান্য দেশেও চাল-আলু রপ্তানি হবে। আগামীতে রাশিয়াতেও আলু যাবে।
“শুধু ধান নয়, বিগত কয়েকবছরে আমাদের দেশে শাক-সব্জির উৎপাদন প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে গেছে।”
গত চার দশকের বেশি সময়ে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হলেও মূলত ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতসহ উন্নত চাষাবাদ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশে ধান উৎপাদন তিন গুণের বেশি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
আর এর ফলে সম্প্রতিক সময়ে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি বিরাজ করা সত্ত্বেও দেশে চাল উৎপাদনে এই সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছে, বলেন তিনি।
ব্রি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে ব্রি, বারি, বিএআরসি, ডিএই, ইরিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
‘ব্রি বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০১৩-১৪’ আয়োজকরা জানান, পাঁচ দিনব্যাপী এ কর্মশালায় গত এক বছরে ব্রির ১৯টি গবেষণা বিভাগ ও নয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা ফলাফল সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সামনে উপস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ব্রির মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস জানান, ব্রি গত ২০১৩-১৪ বছরে সাতটি উফশী ধানের জাতসহ বেশকিছু নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়ন করেছে।
উদ্ভাবিত এ জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে লবণাক্ততা সহনশীল বোরো জাত ব্রি ধান-৬১ ও ব্রি ধান-৬৭, জিঙ্ক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ ও ব্রি ধান-৬৪, ঐতিহ্যবাহী বালাম চালের অনুরূপ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং সরু বালাম নামে পরিচিত জাত ব্রি ধান-৬৩, সরাসরি বপনযোগ্য আগাম আউশ ধানের জাত ব্রি ধান-৬৫, খরা সহনশীল ও উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ বোরো জাত ব্রি ধান-৬৬, বোরো মৌসুমের আদর্শ উফশী জাত ব্রি ধান-৬৮ এবং কম খরচে আবাদযোগ্য উফশী জাত ব্রি ধান-৬৯।
কৃষি সচিব এস এম নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ জেড এম মমতাজুল করিম, ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. শাহজাহান কবীর এবং ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আনছার আলী।
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪