স্টাফ রিপোর্টারঃ পাপকে ঘৃণা করো পাপীকে নয়, এই প্রতিপাদ্যেই চলছে দেশের কারা ব্যবস্থা। সরকার সবসময় কারাগারের পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে, এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় কারাসপ্তাহ ২০১৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বন্দিদের সুশৃঙ্খলভাবে নিরাপদ আটক ও তাঁদের প্রতি মানবিক ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্য কারারক্ষীদের প্রশিক্ষিত হতে হবে। এ সময় রক্ষীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৩ বছরেও কারা কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেনি।
এছাড়াও দেশ ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জঙ্গি এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যাতে কারাগারের ভেতর থেকে জঙ্গি তৎপরতা বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে সে লক্ষ্যে কারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অপরাধীদের নিরাপদে আটক রাখার মাধ্যমে সমাজে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অটুট রাখতে করারক্ষীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ‘পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা কারা প্রশাসন পরিচালনা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারা বিভাগে নিজেদের তুলে ধরার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পেশাগত জ্ঞানের উৎকর্ষ অর্জনের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে হবে। কারাগারে আটক অপরাধীদের শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে হবে। কোনো অপরাধীই যেন কারাগারে এসে বড় অপরাধী হয়ে বের না হয়। কারাগারে আগত বন্দিদের বন্দি হিসেবে না দেখে সমাজের সদস্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। সমাজের একজন সদস্য কারাগারের পরিবেশের কারণে অপরাধী হয়ে বের হলে সমাজ আরো কলুষিত হবে।
তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ‘ক্রিমিনাল ডাটাবেইজ’ তৈরি করা প্রয়োজন। এই ডাটাবেইজের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তথ্যের সমন্বয় করে সহজে অপরাধী পরিচয় দানকারীকে সনাক্ত করা যাবে। এ উদ্দেশ্যে কারাগারে আগত বন্দীদের একটি ডাটাবেইজ তৈরি করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কারা কর্মকর্তাদের জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় অফিসার্স মেস নির্মাণ করা হয়েছে। কারারক্ষীদের জাতীয় প্যারেড প্রথমবারের মত অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশকিছু কারাগারে মহিলা কারারক্ষীদের জন্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এবং কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে শিশুদের ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়েছে। কারা প্রশাসনের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, বন্দিরা সাজাভোগ শেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে যেন সমাজে পুনর্বাসিত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করার সুযোগ পান সেজন্যও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেল হোসেন খান, আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও সাবেক এমপি আখতারউজ্জামান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ নূরুল ইসলামসহ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাগারে এসে পৌঁছলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন তাকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার প্যারেড গ্রাউন্ডে প্যারেড পরিদর্শন ও সশস্ত্র অভিবাদন গ্রহণ করেন। জাতীয় কারা সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর তিনি কারা মেলা ও প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন এবং পরিদর্শন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দরবারে উপস্থিত হয়ে কারারক্ষী, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এ সময় মঞ্চে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, কারা মহাপরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেল হোসেন খান, আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও সাবেক এমপি আখতারউজ্জামান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ নূরুল ইসলামসহ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাগারে এসে পৌঁছলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন তাকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার প্যারেড গ্রাউন্ডে প্যারেড পরিদর্শন ও সশস্ত্র অভিবাদন গ্রহণ করেন। জাতীয় কারা সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর তিনি কারা মেলা ও প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন এবং পরিদর্শন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দরবারে উপস্থিত হয়ে কারারক্ষী, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এ সময় মঞ্চে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, কারা মহাপরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন।