![]() |
ফাইল ফটো |
স্টাফ রিপোর্টার/গাজীপুর অনলাইনঃ নিরাপত্তা ও টহলের নাম করে গাজীপুর কালিয়াকৈর থানার কিছু পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গাজীপুরের ব্যবসায়ি, পরিবহন শ্রমিক ও এলাকাবাসি।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালিয়াকৈর-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়ক সন্ধ্যার পর ডাকাতদের দখলে চলে যায়। প্রায় প্রতিরাতেই লুট করে নগদ টাকা, স্বর্নালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল। যার ফলে ওই সড়ক দিয়ে জরুরী রোগী হাসপাতালে নিতে ডাকাতদের কবলে পড়ে এলাকাবাসি। তাই পুলিশের উপর ভরসা না করে পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ তখন টহলের নামে কাঠ ব্যবসায়ী ও পিকআপসহ বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজিতে মেতে থাকে। গভীর রাতে কোনো না কোন ব্যবসায়ীর বাড়িতেও নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে পুলিশ। এতে ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। অথচ পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় কালিয়াকৈর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন সিএনজি চালিত লেগুনা করে কালিয়াকৈর-ফুলবাড়িয়া সড়কে টহল দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পর কুতুবদিয়া এলাকায় হঠাৎ থেমে একজন কন্সটেবল ইশারা দিয়ে কাঠ ভর্তি একটি পিকআপ থামায়। পরে কাছে গিয়ে হাত বাড়িয়ে ১০০ টাকা নিয়ে চলে যায়।
একই ভাবে কুতুবদিয়া উত্তরপাড়া ও মেদীআশুলাই বাজার থেকে পুলিশ সদস্যরা টাকা নেয়। এরপর পলানবাড়ি এলাকায় কাঠ ভর্তি পিকআপ থামিয়ে টাকা নেয় ওই পুলিশ সদস্যরা।
পিকআপ চালক মো. বিপুল ও ব্যবসায়ী আরফান জানান, পুলিশ ১০০ টাকা নিয়ে গেল। টাকা না দিয়ে উপায় আছে? গাড়ী দাড় করিয়ে রাখতো নয়তো গাড়ির কাগজ নিতো, অথবা হয়রানি করতো। এর আগেও পুলিশ এক চালককে অনেক হয়রানি করেছে। যে পুলিশই রাতে টহল দিতে আসে তারা সবাই টাকা নেয়। এলাকাবাসি পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা এখন ডাকাতদের না পুলিশকে ভয় পায়।
এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন এসব অভিযোগ মিথ্যা।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। ওই এএসআই যদি এমন চাঁদা নিয়ে থাকে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।