স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের পাথারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ধর্ষনকারী শিক্ষকের প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং তাল ঝুলিয়ে দেয়। ধর্ষণ চেষ্টাকারী শিক্ষকের নাম সোহরাব হোসেন (৪০)। তিনি ওই গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে। সোহরাব হোসেন পাথারপাড়া ভাওয়াল মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক। ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে শুক্রবার দুপুরে গ্রামবাসী বিদ্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ধর্ষণ চেষ্টার শিকার শিশু (১১) শ্রীপুরের মাওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সে ভাওয়াল মডেল একাডেমি বিদ্যালয়ে কোচিং করত বলে জানা গেছে।
গ্রামবাসী জানায়, শ্রীপুরের মাওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বাড়ির পাশে ভাওয়াল মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনের কাছে কোচিং করত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহরাব হোসেন বিদ্যালয়ের ক্যালে-ার দেওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে ডেকে আনে।
ধর্ষণ চেষ্টার শিকার শিশু ছাত্রী জানায়, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে নিয়ে প্রধান শিক্ষক প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে সে শিক্ষকের হাত কামড়ে দিয়ে আত্মরক্ষা করে।
শিশু ছাত্রীর চাচা কলিম উদ্দিন জানান, বাড়ি ফিরে তাঁর ভাতিজি দরজা বন্ধ করে ঘরের ভেতর থরথর করে কাঁপছিল। জানতে চাইলে সে রাতে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা জানায়। ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে শুক্রবার দুপুরে গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। টের পেয়ে শিক্ষক সোহরাব হোসেন পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সোহরাব হোসেনকে খুঁজে না পেয়ে ভাওয়াল মডেল একাডেমিতে হামলা চালায়। ব্যাপক ভাঙচুরের পর গ্রামবাসী বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।