স্টাফ রিপোর্টারঃ নারীদের খেলায় আগ্রহী ও উৎসাহিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে নারী ক্রীড়াবিদদের বিশেষ কোটা রাখার প্রস্তাব করেছে। এ প্রস্তাবটি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
জাতীয় সংসদ ভবনে সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ওই প্রস্তাব করা হয়। জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণ খুবই নগণ্য। তাই ক্রীড়া ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে তাদের বিশেষ সুবিধা দিতে হবে। এ জন্যই সরকারি-বেসরকারি সব চাকরির ক্ষেত্রে একটা বিশেষ কোটা চালু করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখতে বলা হয়ছে সংশ্লিষ্টদের।’
তিনি বলেন, ‘মহিলা ক্রীড়াবিদ তৈরিতে মহিলা ক্রীড়া সংস্থাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে মহিলা ক্রীড়াবিদ সংগ্রহ করে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশে অনুষ্ঠিত কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য মহিলা খেলোয়াড়রা গমন করলে তাদের সঙ্গে পুরুষ কর্মকর্তা না পাঠিয়ে মহিলা কর্মকর্তা প্রেরণের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।’
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবারের মতো জাতীয় ক্রীড়া দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করেছে কমিটি। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ২৪ জুলাই সর্বপ্রথম ভারতের মাটিতে দেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করায় এ দিনটিকে অথবা অন্য যে কোনো দিনকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস ঘোষণার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সকে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রূপান্তর করার লক্ষ্যে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করার সুপারিশ করেছে কমিটি। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নেরও প্রস্তাব করা হয়।
জাতীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বেসরকারি করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো মহিলা ক্রীড়ার উন্নয়নে অবদান রাখলে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়াও সকল জেলায় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা গঠন করার সময় প্রকৃত ক্রীড়াবিদকে সংস্থার সভাপতি এবং সম্পাদক নির্বাচিত করার সুপারিশ করা হয়।
ক্রীড়ার প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলোয়াড় কোটায় ছাত্র ভর্তির উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
জাতীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বেসরকারি করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো মহিলা ক্রীড়ার উন্নয়নে অবদান রাখলে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়াও সকল জেলায় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা গঠন করার সময় প্রকৃত ক্রীড়াবিদকে সংস্থার সভাপতি এবং সম্পাদক নির্বাচিত করার সুপারিশ করা হয়।
ক্রীড়ার প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলোয়াড় কোটায় ছাত্র ভর্তির উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন— কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী বীরেন শিকদার, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, এ এম নাঈমুর রহমান, মো. মাহবুব আলী, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন— যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।