স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুরের টঙ্গীতে ২০-দলের ডাকা হরতালের সমর্থনে মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ইসমাইল জানান, সোমবার সকাল ৮টার দিকে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেটের বেক্সিমকো সড়ক এলাকায় ভাঙচুরকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে ফাঁকা গুলি ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ওই এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। পরে মিছিলকারীরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে এবং টায়ারে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ভাঙচুরকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়লে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় বলে জানান ওসি ইসমাইল।
এর আগে সকাল পৌণে ৮টার দিকে টঙ্গীর সুর তরঙ্গ রোড এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল মিছিল বের করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
পরে ৭টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মালেকের বাড়ি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এবং বাইপাস সড়ক এলাকায় পিকেটরোরা ঝটিকা মিছিল বের করে। পুলিশ আসার আগেই তাঁরা পালিয়ে যায়।
সালনা হাইওয়ে মহাসড়ক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ খান জানান, সকাল থেকে গাজীপুর থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি। তবে রিকশা, অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক।
জেলার কল-কারখানা, অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও খোলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গাজীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সমাবেশ করতে না দেয়া এবং বিএনপির নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু, নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুসহ ২০-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে সোমবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। শনিবার সন্ধ্যায় জোটের মহাসচিবদের বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।