স্টাফ রিপোর্টারঃ টঙ্গীতে প্রায় ৮০ টির মতো বিভিন্ন ধরণের শিল্পকারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ইটিপিবিহীন ১৯ টি ডাইং এবং ১০টি ওয়াশিং কারখানা রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের দূষণের মাত্রানুযায়ী ডাইং কারখানাসমূহ লালশ্রেণীভূক্ত এবং ওয়াশিং কারখানাসমূহ কমলা-খে শ্রেণীভূক্ত।
এসব ডাইং ও ওয়াশিং কারখানাসমূহ তরলবর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) বিহীনভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিচালিত হয়ে আসছে। ইতোপূর্বে কারখানাসমূহকে পরিবেশ দূষণের দায়ে ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হলেও তারা ক্ষতিপূরণ প্রদান করে পুনরায় ডাইং ও ওয়াশিং কার্যক্রম চালিয়ে দূষিত তরলবর্জ্য ড্রেনের মাধ্যমে সরকার ঘোষিত প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা(ইসিএ)ভূক্ত তুরাগ নদীতে নির্গমন করছে। তবে টঙ্গী বিসিক শিল্পমালিক সমিতি সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন ও সদস্যদের নিয়ে টঙ্গী শিল্প এলাকায় একটি সেন্ট্রাল ইটিপি পরিবেশ অধিদপ্তরে নিকট অঙ্গীকার করলেও তারা তা আজও বাস্তবায়ন করেননি।
ফলে মঙ্গলবার পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর নের্তৃত্বে টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকায় দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পরিকল্পনা ও সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) মোঃ আলমগীর। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) সোনিয়া সুলতানা, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহম্মদ হাফিজুর রহমান, সাবরিন সুলতানা।
অভিযানে ইটিপিবিহীন দূষণকারী কারখানাগুলো হচ্ছে- টঙ্গীর বিসিক এলাকার প্লট বি-২০ এর ইউনিক ওয়াশিং লিঃ, প্লট বি-২৩ এর লন্ড্রি গেইড (প্রাঃ) লিঃ, প্লট বি-১৮ এর এম এন্ড এম ওয়াশিং এন্ড ডাইং ও প্লট সি-১২৩ এর কালার মার্ক লিঃ বন্ধ ও সিলগালা করা হয় এবং কারখানার মালিককে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট উইং এ শুনানীতে হাজির হওয়ার হয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। উক্ত কারখানাসমূহ সিলগালা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সেলিম রেজা ও পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম।
তাছাড়া অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মোতায়েন ছিল র্যাব-১, এর ১ প্লাটুন র্যাবসদস্যসহ গাজীপুর জেলার দুই প্লাটুন রিজার্ভ পুলিশ। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে এসব পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ পালিয়ে যায়।