ডেস্ক রিপোর্টঃ চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চল হেবেই প্রদেশের দরিদ্র এক গ্রামের যুবকদের বিয়ে করে পালিয়ে গেছে ভিয়েতনামের শতাধিক তরুণী।
পালিয়ে যাওয়া ভিয়েতনামের এসব বউয়ের সন্ধান করছে চীনের পুলিশ। এরা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য হতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এ কথা জানানো হয়।
চায়না ডেইলির খবরে জানানো হয়, হেবেই প্রদেশের কুজহোতে উ মেইয়ো নামের এক ভিয়েতনামি বউ আছেন। তিনি সেখানে প্রায় ২০ বছর ধরে বাস করছেন। তাঁর মাধ্যমেই চীনের অবিবাহিত এই যুবকদের সঙ্গে ভিয়েতনামের অবিবাহিত তরুণীদের পরিচয় হয়। খবরে বলা হয়, দুই পক্ষের মধ্যে এই মধ্যস্থতার জন্য তিনি ১৬ হাজার ডলারের বেশি পরিমাণ অর্থ পেয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পত্রিকায় নাম প্রকাশ না করে এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সংঘবদ্ধ চক্র এই নিখোঁজদেরর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আধুনিক এই যোগাযোগ প্রযুক্তির জমানায় পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট একটি সময়ে কোথাও চলে যাওয়াটা কঠিন কিছু না। আর এ ব্যাপারটিই কাজে লাগিয়েছেন ভিয়েতনামের তরুণীরা।
এক সন্তান-নীতির কারণে চীনে নারী-পুরুষের সংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা দিন দিন বাড়ছে। বিয়ের সময় বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে কনে খুঁজে পাওয়া ভার। এ কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে বউ হিসেবে নারীকে কেনা-বেচার ঘটনা ঘটে থাকে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, চীনে ১০০ নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ১১৮। এ কারণেই বিয়ের জন্য পাত্রীর যোগান দিতে মানব পাচারের রাস্তা তৈরি হয় চীনে।