ডেস্ক রিপোর্টঃ সাড়ে তিন বছর বয়সী নিষ্পাপ শিশু জিহাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের পূর্বেরচর গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।
জিহাদের মামা মনির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, জিহাদের লাশ রবিবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে। জানাজা শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি জানান, লাশ শরীয়তপুরে পৌঁছার পর প্রথমে জিহাদের নানার বাড়ি দামুদ্দা উপজেলার গোখরার পাড়ায় নেয়া হয়। সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় নাগেরপাড়া ইউনিয়নের পূর্বেরচর গ্রামে। পরে নাগের পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে, লাশ পৌঁছানোর আগেই ওই স্কুল মাঠে উপস্থিত হন সহকারী পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) সুমন দেব, গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোফাজ্জল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শিশু জিহাদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে একনজর দেখতে ভিড় করেন আশপাশের হাজারও মানুষ। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।
এর আগে, রবিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জিহাদের বাবা-মার হাতে তার লাশ হস্তান্তর করেন। একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে জিহাদের লাশ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা শরীয়তপুরের উদ্দেশে রওনা হন।
শাহজাহানপুরে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে রেলওয়ে কলোনির একটি পরিত্যক্ত পাইপের মধ্যে পড়ে যায় সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু জিহাদ। এর ২৩ ঘণ্টা পর ওই পাইপ থেকেই উদ্ধার করা হয় তার লাশ।
ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করার আধা ঘণ্টার মাথায় সাধারণ মানুষজন উদ্ধার করে শিশু জিহাদের লাশ। শনিবার বিকাল ৩টার দিকে শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির পরিত্যক্ত পাইপ থেকেই নিজেদের তৈরি করা বর্শার মতো এ্যাঙ্গেল দিয়ে জিহাদকে টেনে তোলেন উদ্ধার কর্মীরা।
এর পরপরই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিয়াজ মোর্শেদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ইসিজি করার পর জিহাদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।