স্টাফ রিপোর্টার/গাজীপুর অনলাইনঃ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি এবং আবাসন খাতের মন্দা কাটাতে গৃহ ঋণের সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন থেকে একজন গ্রাহক বাড়ি বানাতে বা ফ্লাট কিনতে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ এক কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এতো দিন এ সীমা ছিল এক কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন- রিহ্যাব বেশ কিছু দিন ধরে এই ঋণ সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ৭০:৩০ অনুপাতে ব্যাংকগুলো একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ এক কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ দিতে পারবে। অর্থাৎ বাড়ি নির্মাণের মোট খরচের বা ফ্লাটের মোট দামের ৭০ শতাংশ গ্রাহক নিজে খরচ করবেন। বাকি ৩০ শতাংশ দেবে ব্যাংক।
কোনো ব্যক্তিকে ব্যাংক থেকে এক কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ পেতে হলে ওই বাড়ি নির্মাণ বা ফ্লাট কেনার জন্য তাকে দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা নিজের বিনিয়োগ করতে হবে।
নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক রুপ রতন পাইন এ প্রসঙ্গে বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় হাউজ লোনের এই সীমা বাড়ানো হয়েছে।
“এই সিদ্ধান্ত শুধু ব্যক্তি গ্রাহকের জন্য প্রযোজ্য হবে, কোনো আবাসন ব্যবসায়ীর জন্য নয়।”
এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, “আবাসন ব্যবসায় মন্দা চলছে। এরকম সময়ে এ সিদ্ধান্ত খুব যে ইতিবাচক হবে তা নয়, কারণ নির্মাতারা নির্মাণ করতে পারছে না। “তবে ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য আছে। সেই বিবেচনায় আমাদের কিছুটা সহায়তা করবে।”
‘এটা অবশ্যই আবাসন খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে’ মন্তব্য করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রিহ্যাবের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া।
গৃহ ঋণের সুদের হার কমানোর ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।