স্টাফ রিপোর্টারঃ বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও আপপাশ এলাকায় শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত পকেটমার ও ছিনতাইকারীসহ নানা অভিযোগে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে টঙ্গী থানা পুলিশ ১৪জনকে এবং র্যাব সদস্যরা তিন জনকে আটক করে।
টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মালেকা বেগম জানান, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দান এবং এর আশপাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পকেটমার ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৪জনকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে, র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুল হাসান জানান, ইজতেমা ও আশপাশ এলাকা থেকে তিন পকেটমার-ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ইজতেমা মাঠের আশপাশ এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে খাদ্যদ্রব্য আইনে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে ১০টি মামলা এবং ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে লাগানো বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, সিনেমার অশ্লীল পোস্টার উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আখেরী মোনাজাত উপলক্ষ্যে ইজতেমাস্থলে বাড়তি নিরাপত্তাঃ
আগামীকাল রোববার বিশ্ব ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে গাজীপুর পুলিশ প্রশাসন বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইজতেমাস্থলে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন-অর রশিদ জানান, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোনাজাতের দিন অন্যান্য দিনের চেয়ে দ্বিগুণ ফোর্স (দুই শিফটের ফোর্স এক শিফটে) মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার লাখ লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটেছিল। টঙ্গী থানা এলাকা থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং কামারপাড়া থেকে মন্নুগেট পর্যন্ত সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মুসল্লিরা রাস্তায়য় নামাজ আদায় করেছেন। আমরা আশা করছি, আখেরি মোনাজাতের দিনও প্রচুর লোকের সমাগম ঘটবে। সে কারণে ট্রাফিক ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। শনিবার ভোরথেকে টঙ্গী ব্রীজ থেকে ভোগড়া বাইপাস, টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে মীরেরবাজার পর্যন্ত কোন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
এ ছাড়া ইজতেমা উপলক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিদেশী নিবাসসহ খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোশাকের পুলিশসহ ইজতেমা মাঠের চারপাশে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার, চেকপোস্ট, ফুট পেট্রল, রিভার পেট্রল দিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সর্বক্ষণিক সিসি টিভির মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।